বানচাল ধামাখালির বৈঠক, `রাজ্য়পাল কি রাজ্য সরকারের অধীনস্থ?` প্রশ্ন ক্ষুব্ধ ধনখড়ের
মঙ্গলবার টানাপোড়েনে জেরে ফের ভেস্তে গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ধামাখালি বৈঠক।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: এক্তিয়ার বিতর্কের জেরে ফের রাজ্য়, রাজ্য়পাল সংঘাত। মঙ্গলবার টানাপোড়েনে জেরে ফের ভেস্তে গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ধামাখালি বৈঠক। রাজ্যের অনুমতি ছাড়া বৈঠকে কোনও আমলাকেই আমন্ত্রণ সম্ভব নয়, চিঠি দিয়ে সাফ জানিয়ে দেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক। এমন কী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি নিজেও। সবমিলিয়ে রাজ্যপাল বৈঠক করতে চাইলেও জেলা শাসকের অনুমতি না মেলায় শেষ পর্যন্ত বানচাল হয়ে যায় ধামাখালিতে রাজ্যপালের প্রসাশনিক বৈঠক।
মঙ্গলবার বেঠকে প্রশাসনিক কর্তারা না আসায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্য়পাল। পরিস্থিতিকে সাংবিধানিক সংকট বলেও বর্ণনা করেন জগদীপ ধনখড়। এদিনের ঘটনায় তাঁর প্রশ্ন, "রাজ্য়পাল কি রাজ্য সরকারের অধীনস্থ? রাজ্যপাল কথা বলতে চাইলে সরকারের অনুমতি লাগবে কেন?" পাশাপাশি ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, "রাজ্যপাল হিসেবে সেখানে খুশি যেতে পারি, কিন্তু যেখানেই যাব সেখানেই জেলাশাসক অসুস্থ হচ্ছেন। মন্ত্রীদের বয়কটের সঙ্গে আমলারাও যুক্ত হচ্ছেন কেন?"
উল্লেখ্য, ধামাখালির পর সুন্দরবনে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা ধনখড়ের। ডিএম, এসপি ও সভাধিপতিকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানোর কথা থাকলেও ওই একই বয়ানে কাউকে আমন্ত্রণ জানাতে নাকজ করেন জেলা শাসক। জানান, রাজ্যের অনুমতি ছাড়া কাউকে আমন্ত্রণ সম্ভব নয়। পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীর শিলিগুলি সফরে ব্যস্থ থাকার কারণে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলেই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'আমি আপনাদের পাহারাদার, একটা মানুষও বাংলা থেকে যাবে না', শিলিগুড়িতে বললেন মমতা
কিছুদিন আগে শিলিগুলিতে রাজ্যপালের বৈঠকে রাজ্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছিল। আমন্ত্রণ জানানো হলেও জেলা শাসক, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের কেউই সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। আর এবারের বৈঠকে কাউকে আমন্ত্রণই করল না জেলা প্রশাসন। কাজেই ফের আরও স্পষ্ট হল সংঘাত।