শিক্ষা নেয়নি ধূপগুড়ি, ফের পাথর বোঝাই লরি উল্টে দুর্ঘটনা
মৃতদেহ ওদলাবাড়ি এবং ডামডিম আসতেই মানুষের ঢল নেমে যায়। শেষ বারের মত এক বার চোখের দেখা দেখতে প্রচুর মানুষ চলে আসেন দুই জায়গায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধূপগুড়িতে ভয়বহ দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। ফের দূর্ঘটনা ধূপগুড়িতে। যদিও বরাত জোড়ে রক্ষা পেল প্রাণ। গতকাল ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল ধূপগুড়ি দুর্ঘটনায়। এর মধ্যে মালবাজার ব্লকের ৯ জন রয়েছে। বুধবার মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারে হাতে তুলে দেয় জলপাইগুড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতে মালবাজারে ডামডিম এবং ওদলাবাড়িতে মৃতদেহ নিয়ে আসেন তাঁদের পরিবার। ঘটনায় আহত হয় প্রায় ১২ জন।
মৃতদেহ ওদলাবাড়ি এবং ডামডিম আসতেই মানুষের ঢল নেমে যায়। শেষ বারের মত এক বার চোখের দেখা দেখতে প্রচুর মানুষ চলে আসেন দুই জায়গায়। কান্নায় ভেঙ্গে পরেন আত্মীয়স্বজনসহ পাড়া প্রতিবেশীরা। অনেক রাতেই এক সঙ্গে এলাকার শ্মশান ঘাটে মৃতদেহ সত্কার করা হয়। শ্মশান ঘাটেও মানুষের ভির উপচে পড়ে। এদিন ওদলাবাড়িতে একই পরিবারের ৬ জনের এবং পশ্চিম ডামডিম একই পরিবারে তিনজনের শেষকৃত্য সম্পূর্ণ হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গ রাজনীতিতে 'গোলি মারো', TMC-র পর শুভেন্দুর রোড শোয়ে 'বহিরাগত' স্লোগান
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর পরেও শিক্ষা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। একইভাবে ওভারলোড পাথর বোঝাই ডাম্পার চলাচল করছে। গতকাল রাতে মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ির রাজ্য সড়কে ডাম্পারের থেকে হুড়মুড় করে রাস্তার ওপর পড়ে যায় প্রচুর বড় বড় পাথর।
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা বহু মানুষ। এরপর উত্তেজিত মানুষ আটকে দেয় পাথর বোঝাই দুটি ডাম্পার। প্রতিদিন এই রাজ্য সড়ক দিয়ে চলছে প্রচুর বহিরাগত ওভারলোড পাথর বোঝাই ট্রাক এবং ডাম্পার যাতায়াত করে বলেই অভিযোগ। কার অনুমতি নিয়ে বহিরাগত নম্বর প্লেট লাগানো ডাম্পার বেপরোয়াভাবে রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।