নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাথমিক রিপোর্ট কার্ডেই নামের পাশে 'লাল দাগ'। আর তাই এবার আরও কড়া নির্দেশ দলীয় নেতৃত্বের। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হারানো জমি ফিরে পেতে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে  তৃণমূল শুরু করেছে 'দিদিকে বলো'। রাজ্যবাসীর সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে বুথস্তর পর্যন্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার সামনে এল কে কেমন পারফরম্যান্স করেছে? তার রিপোর্ট কার্ড। আর রিপোর্ট কার্ড সামনে আসতেই সামনে এল নয়া তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দলের অন্দরের খবর, প্রাথমিক রিপোর্ট কার্ড বলছে, মোটামুটি কমবেশি সব নেতাই 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিপালন করছেন। কিন্তু এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা সেই নির্দেশ মানছেন না। ফাঁকি মারছেন। তাঁদের নাম ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। কারা কারা ফাঁকি মারছেন? তৈরি হয়েছে তালিকাও।


তৃণমূল সূত্রে খবর, তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। ডেকে সতর্ক করা হচ্ছে তাঁদের। সেইসঙ্গে আরও বেশকিছু নতুন নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। যারমধ্যে বেশ উল্লেখযোগ্য, 'ফাঁকিবাজ' সেইসব নেতাদের এখন থেকে নিজেদের কাজ বা কর্মসূচি ফেসবুক লাইভ করে দেখাতে হবে। অর্থাৎ জনসংযোগের 'লাইভ' প্রমাণ জমা দিতে হবে।


চলুন, একবার দেখে নেওয়া যাক, 'দিদিকে বলো'তে তৃণমূল নেতৃত্বকে কীভাবে জনসংযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল?



আরও পড়ুন, 'দিদিকে বলো'-তে মুখ্যমন্ত্রীকে অর্ধেকের বেশি অভিযোগ তৃণমূলের কোন্দল নিয়েই


এছাড়াও কর্মসূচির আওতায় আগামী ১০০ দিনে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে যাবেন তৃণমূল নেতারা। নিজের নির্বাচনী এলাকায় একটি গ্রামে রাত কাটাবেন তাঁরা। কে কোন গ্রামে যাবেন তা ঠিক করবে জেলা নেতৃত্ব। গ্রামে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। কথা বলবেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। কথা বলবেন গ্রামের গুণী মানুষদের সঙ্গে। রাতে কোনও দলীয় কর্মীর বাড়িতে সদলবলে নৈশাহার সারবেন তাঁরা। গ্রাম ছেড়ে বেরোনোর আগে উত্তোলন করবেন দলীয় পতাকা।