ই গোপী: 'প্রকাশ্য়ে ক্ষমা চাইতে হবে'। খড়গপুরে দিলীপ ঘোষের বাংলোয় 'ভাঙচুর'! গেট ভেঙে বাংলোর ভিতরে ঢুকে পড়লেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের। সামনের রাস্তায় চলল বিক্ষোভ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনা ঠিক কী? সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। অবরোধ-বিক্ষোভ চলছে জঙ্গলমহলে। রবিবার দলের কাজে পশ্চিম মেদিনীপুরে লালগড়ে যাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। পথে কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। দিলীপের কাছে জানতে চাওয়া হয়, 'কুড়মি সমাজের জন্য কী করেছেন'? জবাবে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, 'কুড়মি সমাজের বহু মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করেছি। আন্দোলনের সময়ে চাল,ডাল দিয়েছি'।


দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কুড়মিরা। স্রেফ রানিবাধে তুমুল বিক্ষোভ নয়, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কুশপুতুল পোড়ানো হয় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির। আন্দোলনকারীদের দাবি, 'কর্মীরা কোনও নেতার কাছে হাতে পাতে না। নিজেরা চাঁদা তুলে আন্দোলন করে'।


আরও পড়ুন: Egra Blast: এগরার খাদিকুলে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রতিনিধিরা, উঠল জয় শ্রীরাম-চোর চোর স্লোগান...


এদিন সকালে খড়গপুরে দিলীপ ঘোষের রেলওয়ে বাংলোর সামনে জমায়েত করেন কুড়মিরা। এরপর গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। শুধু তাই নয়, বাংলোর বাইরে বেশ কিছু জিনিসও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর যখন পুলিস যখন বিক্ষোভকারীদের বাংলোর বাইরে বের করে দেয়, তখন রাস্তা আটকে শুরু হয় বিক্ষোভ।


কুড়মি নেতা অজিত মাহাত বলেন,  'কুড়মি জাতির কোনও একজন বা দু'জন ব্যক্তি চুরি করতে পারে, ধোকা দিতে পারে। কিন্তু কুড়মি জাতির কথা কেন বলল? যাঁরা করেছে, তার বিরুদ্ধে মুখোশ খুলুক। আমাদের কিছু বলার নেই। কুড়মি জাতি স্বভিমানে আঘাত। আমরা বলছি, প্রকাশ্য়েই ক্ষমা চাইতে হবে'।



এদিকে কুড়মি অসন্তোষে বিপাকে বিজেপি। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় দিলীপ ঘোষের কথা বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)