Egra Blast: এগরার খাদিকুলে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রতিনিধিরা, উঠল জয় শ্রীরাম-চোর চোর স্লোগান...
Egra Blast: বিক্ষোভ নিয়ে দোলা সেন বলেন, খুবই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঘটনার তদন্ত চলছে। এটা কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়। মুখ্যমন্ত্রী গতকালই বলেছেন এনআইএ তদন্ত হলে কোনও আপত্তি নেই। ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিহতদের পারিবারের লোকজন তেমন কিছুই বলেননি। তাঁদের দাবি দোষীরা শাস্তি পাক
কিরণ মান্না ও কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: এগরার খাদিকুলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামের মানুষজন। তাঁদের দাবি, যে ভানু বাগের বাড়িতে বিস্ফোরণ তার বিরুদ্ধে আগে কেন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। শাসক দলের লোক হওয়াতেই কি বাজি কারখানা চালাতে দেওয়া হয়েছিল? নিহতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করলেও খুব বেশিক্ষণ প্রতিনিধিদল থাকতে পারেনি।
আরও পড়ুন- ২০ বছর আগে কী ঘটেছিল ভানুর বাজি কারখানায়? এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খাদিকুলে আসেন মানস ভুঁইঞা, দোলা সেন ও স্থানীয় বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র। তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূল প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্য ছিল আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে মানুষকে আশ্বাস দেওয়া, পুলিসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া, আহত ও নিহতদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া। এদিন ঘটনাস্থলে তৃণমূল নেতারা আসার পর তাদের ঘিরে ধরে একদল লোক প্রবল বিক্ষোভ দেখান। তাদের মুখে ছিল জয় শ্রীরাম, চোর চোর স্লোগান। তাদের দাবি, এতে দেরিতে কেন এসেছেন নেতারা। যে ঘটনা ঘটেছে তাতে পুলিসের বড় ভূমিকা রয়েছে, শাসকদলের মদত ছাড়া দিনের পর দিন ওই কাণ্ড করতে পারত না ভানু বাগ। ওইসব ক্ষোভ তৃণমূল প্রতিনিধি দলের উপরে পড়ে। মাত্রা কয়েক মিনিট নিহতদের পারিবারের লোকজনদের সঙ্গে থেকে তারা চলে যেতে বাধ্য হন। তবে কথা বলেন পুলিসের সঙ্গেও। সবেমিলিয়ে মিনিট দশেক ছিলেন তাঁরা।
বুধবার এগারোটা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বহু মানুষ। সেইসময় কোনও বিক্ষোভ হয়নি। বিস্ফোরণস্থলের কাছাকাছি কাউকে আসতে দেওয়া হয়নি। এলাকাটি দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। কিন্তু মানস ভুইঞারা যখন আসেন তখন গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যায় পুলিস। বিক্ষোভকারীদের দাবি ভানু বাগ তৃণমূল করেন। তাই তাদের সমর্থন করছিল পুলিস।
পুলিস প্রশাসনের পাশাপাশি যার বাড়িতে বিস্ফোরণ তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানুষজন। এর আগেও ভানুর কারখানায় বিস্ফোরণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তার পরও কীভাবে কারখানা চালায় ভানু। এখনওপর্যন্ত ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের দাবি, এনআইএ তদন্তের। তাতেও আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
বিক্ষোভ নিয়ে দোলা সেন বলেন, খুবই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঘটনার তদন্ত চলছে। এটা কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়। মুখ্যমন্ত্রী গতকালই বলেছেন এনআইএ তদন্ত হলে কোনও আপত্তি নেই। ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিহতদের পারিবারের লোকজন তেমন কিছুই বলেননি। তাঁদের দাবি দোষীরা শাস্তি পাক।
অন্যদিকে, মানস ভুইঞা বলেন, কিছু লোক শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এসেছি। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বললাম। কোনও প্ররোচনায় পা আমরা দিইনি। কিছু লোক চিত্কার করছে। করতেই পারেন। গণতান্ত্রিক অধিকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন নিহত পরিবারের পাশে আছেন। আহতদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হবে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, কীভাবে লাইসেন্স ছাড়া ওই কারখানা চলছিল। গ্রাম পঞ্চোয়েত কারা চালাচ্ছে, গ্রামের মানুষ কেন আগে ৃ প্রতিবাদ করেনি। যে লোকটা জামিনে রয়েছে সে এই কাজ করে কীভাবে? যা তদন্ত করার মুখ্যমন্ত্রী তা করবেন। দোষীদের ধরবেন। মানুষকে আশ্বস্ত করবেন যে সরকার তাঁদের পাশে আছে।