Dilip Ghosh: সাংগঠনিক দুর্বলতা মানতে নারাজ! ভোটে প্রার্থী না দিতে পারার কারণ ব্যাখ্যা দিলীপের
`সন্ত্রাস না করে শাসকদল জিততে পারবে না`, অভিযোগ দিলীপের
নিজস্ব প্রতিবেদন: সদ্য সমাপ্ত চার পুরনিগমের ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ওই ভোটে কার্যত দাঁত ফোটাতে পারেনি বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকেও (BJP) অনেকটা ছন্নছাড়া দেখিয়েছে। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের কেন এই হাল? এর কারণ কি সাংগঠনিক দুর্বলতা? মুখ খুললেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শনিবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারে যান দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানে 'চায়ে পে চর্চা'য় যোগ দেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি। সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, "বীরভূম এবং ডায়মন্ড হারবারে তিনটে পুরসভাতে মনোনয়ন করতে দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সন্ত্রাস না করে শাসকদল জিততে পারবে না। ৪০ বছর ধরে সিপিএমের আমল থেকেই সন্ত্রাস চলছে।" এরপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, "সন্ত্রাসের মধ্যেও লড়াই করে দলকে বড় করেছি। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। পুরসভাতে একাধিক জায়গায় জিতব।"
এরপর বিজেপির (BJP) সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা অস্বীকার করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, "সারা পশ্চিমবাংলায় সাংগঠনিক দুর্বলতা থাকলে এত প্রার্থী কী করে দিলাম। আমরা এত সন্ত্রাসের মধ্যেও কলকাতার সব জায়গায় প্রার্থী দিয়েছি। পুলিস দিয়ে নির্বাচন করানো হচ্ছে। মানুষকে রাস্তায় বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। যখন পুলিস এবং গুন্ডা দিয়ে ভোট করাতে পারবে, তখনই তৃণমূল ভোট করাচ্ছে।" একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। তা সত্ত্বেও ৭৭ টি আসন পায় বিজেপি। এই প্রসঙ্গে দলীপ ঘোষ বলেন, "৩ থেকে ৭৭ এবং আমাদের ১০ শতাংশ ভোট ছিল, তা ৩৮ শতাংশ ভোট হয়েছে। ভোট বেড়েছে। হয়ত কোথাও আমাদের গণ্ডগোল ছিল। দোষ ছিল। তাই আমরা জিততে পারেনি, মেজরিটি পাইনি।"
আরও পড়ুন: লাগাতার নাবালিকাকে ধর্ষণ প্রৌঢ়ের, গ্রেফতার প্রতিবেশী