কোন্নগরের নিগৃহীত অধ্যাপককে প্রণাম করে ক্ষমা চাইল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব
`কে কত বড় দাদা হয়েছে, আমি দেখে নেব। আমি নামটা বলুন।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে গিয়ে নিগৃহীত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব ও উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। পাশাপাশি এই ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে।
এদিন বিধায়ক প্রবীল ঘোষাল কলেজে গিয়ে প্রথমে অধ্যাপক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন প্রবীর ঘোষাল। এই ঘটনার পিছনে কে রয়েছে তা অধ্যাপকের কাছে জানতে চান। কিন্তু প্রথমে অধ্যাপক তাঁর নাম নিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি যদি তাঁর নাম নিই, আমার কাল থেকে কলেজে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে।” এরপর তিনি সুব্রতবাবুকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। কে কত বড় দাদা হয়েছে, আমি দেখে নেব। আমি নামটা বলুন।” এরপরই সুব্রতবাবু বলেন, “কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিক যখন তখন কলেজে ঢুকে হম্বিতম্বি করেন। ছাত্রদেরকে অধ্যাপকদের পেটানোর জন্য ও কলেজে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য উস্কানি দেন। গতকাল তাঁর নির্দেশেই ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমার ছাত্ররা এমনিতে তেমন নয় যে অধ্যাপকের গায়ে হাত তুলবে। গতকাল বহিরাগতের নির্দেশেই এমনটা হয়েছে।”
"প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তার অভাববোধ করেছি, ২০১১ সালের পর ভেবেছিলাম চাকরি ছেড়ে দেব''
এরপর ফের অধ্যাপক সুব্রতবাবুর কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আশ্বস্ত বোধ করছেন নিগৃহীত অধ্যাপত সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ও।
প্রসঙ্গত, এদিনই সকালে সুব্রতবাবুকে ফোন করে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ফোনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আপনার পাশে আছি। আপনি কোনও চিন্তা করবেন না। দোষী দুই ছাত্রকে বের করে দেওয়া হয়েছে।”