নিজস্ব প্রতিবেদন: দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ফর্ম ফিল আপ করার জন্য নেওয়া হচ্ছে টাকা। এমন অভিযোগ আসছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এবার সেই দুর্নীতি হাতেনাতে ধরলেন শিলিগুড়ি পুরসভার পুর প্রশাসক গৌতম দেব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Shantora: স্বামী-সন্তান ছেড়ে ফের 'বিয়ে'! জোর জল্পনা বাঁকুড়ায়, অভিযোগ ওড়ালেন বিজেপি বিধায়ক    


শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের অভিযোগ উঠছিল প্রথম দিন থেকে। খবরের জেরে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থাও নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তারপরও কিছুতেই তাদের বাগে আনা যাচ্ছে না। কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের শিবমঙ্গল স্কুলে পরিদর্শনে যান প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব। সেখানেই এক যুবককে হাতেনাতে ধরেন গৌতম দেব। ফর্ম ফিলাপের পরিবর্তে সে টাকা নিচ্ছিল। নজরে পড়ে যায় খোদ প্রাশাসকের। সেখানেই তাকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


  


ওই ঘটনা নিয়ে গৌতম বলেন, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে ভিড় বাড়ছে। কাজেই সেটাকে আলাদা জায়গায় স্থানান্তরিত করারা কথাও ভাবা হচ্ছে। ফর্ম ফিলাপের পরিবর্তে টাকা নেওয়া অন্যায়। ফর্ম ফিলাপ করে দেওয়ার জন্য সহায়করা রয়েছেন। তারা কাজ করছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিস কমিশনারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আগামিকাল থেকেই বাড়ানো হবে নজরদারি। বাড়ানো হবে সহায়কের সংখ্যাও। তবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে।


আরও পড়ুন-Covid Vaccine: জোড়-বিজোড় পদ্ধতি বাতিল, ফের ভ্যাকসিন নীতি বদলের পথে কলকাতা পুরসভা


অন্যদিকে, শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার চট হাট উচ্চতর বিদ্যালয়ে আজ থেকে শুরু হল দুয়ারের সরকার কর্মসূচির ফর্ম ফিল আপ। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আবারো আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়লো দুর্নীতির ছবি। দেখা গেল এখানে  ফর্ম ফিল আপের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১০-৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে । এইসব অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের কিছু ছেলেমেয়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিস বিশাল বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হন চটহাট বাজারে । ঘটনাস্থলে পুলিশকে দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বেশ কয়েক জন। এই ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজন যুবক ও তিন জন মহিলাকে আটক করেছে পুলিস। 


তবে আশ্চর্যের বিষয় অবৈধভাবে ফরম ফিলাপ করে যারা টাকা নিচ্ছিলেন তাদের পুলিসের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন এলাকার তৃণমুলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মোহাম্মদ বসিরুদ্দিন। কিন্তু পুলিস তার কোনো কথা না শুনে আটক প্রত্যেককে ফাঁসিদেওয়া থানায় নিয়ে যায় । এই মুহূর্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক । পুনরায় যাতে ফরম ফিলাপের নামে আর কেউ টাকা না নিতে পারে যার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকায় রয়েছে পুলিশি টহলদাড়ি ।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)