নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে মহামারি আইন বলবত্‍ হল। প্লেগ, কলেরার  মতো রোগের মহামারির সময়ে মোকাবিলায় এই আইন চালু হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনে। এবার সেই আইনই পুনরায় বলবত্‍ হল রাজ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক কী বলা হয়েছে এই আইন? এই আইনে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা কিম্বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি করোনা সন্দেহভাজনদের বলপূর্বক হাসপাতালে ভর্তি করতে পারবেন। রোগ সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের পৃথক পর্যবেক্ষণে রাখার অধিকার পাবেন। রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে কোনও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে দায়ী মনে হলে সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া, বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়ার ক্ষমতা থাকছে আইনে। মহামারি মোকাবিলায় যে কোনও  নির্দিষ্ট স্থান দখলে নেওয়া যাবে, কেউ তাতে বাধা দিলে তা আইন ভাঙা হচ্ছে বলে বিবেচিত হবে।


আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক- আন্তঃরাজ্য সীমানায় শতাধিক চেকপয়েন্ট তৈরি করল রাজ্য


হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত, সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ক্যানসার ইনস্টিটিউটে তৈরি হওয়া একমাত্র কোয়রেন্টাইন সেন্টারে গিয়ে রবিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিদেশ থেকে কলকাতায় আসা কয়েকজন যাত্রী। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, শরীরে করোনাভাইরাসের কোনও উপসর্গ না-থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কোয়রান্টিন করে রাখা হচ্ছে কেন? কোন আইনের আওতায় এই কাজ? শুরু হয় বিক্ষোভ।


আর তার পরেই সোমবার ১৮৯৭ সালের 'দ্য এপিডেমিক ডিজিসেস অ্যাক্ট' বা মহামারি রোগ আইন প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এর আগে প্রায় ১২টি রাজ্য এই আইন বলবৎ করেছে।