প্রদ্যুত দাস: ঐতিহাসিক জলপাইগুড়ি রাজবাড়িতে এবার ৫১৫ তম দুর্গা পুজো। মহালয়ার এই পুণ্য লগ্নে ও পুণ্য তিথিতে রাজ পরিবারের পুজোয় উমার চক্ষুদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল। শতাব্দীপ্রাচীন এই রাজবাড়ির ঐতিহ্যকে মনে রেখেই জলপাইগুড়ি রাজবাড়িতে উমার এই চক্ষুদান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Dry Days in Festive Months | Durga Puja Special: উৎসব-সিজনে টানা ড্রাই ডে! সুরাপানে মৌতাত মহেশ্বর হওয়ার পথে বড় বাধা সুরারসিকদের...


ঐতিহাসিক জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির ৫১৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন আজ এক অবিস্মরণীয় মুহূর্তে পরিণত হয়েছে। রাজ পরিবারের সদস্য উমার হাতে দেবীর চক্ষুদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ায় এই দিনটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে। শতাব্দী প্রাচীন এই জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যের এক অনন্য সাক্ষী। এর স্থাপত্যশৈলী এবং প্রাচীন কারুকাজ পর্যটকদের মন কাড়ে। প্রতি বছর এই উৎসবের আয়োজনের মাধ্যমে রাজ পরিবার তাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


জলপাইগুড়িতে যখন এই পুজো তখন অন্যরকম একটা পুজোও হয়ে গেল বর্ধমানে। এখানে আজ, এই মহালয়ার দিনেই মা দুর্গা আসেন আবার মহালয়াতেই ফিরে যান। একদিনের এই অভিনব দুর্গা পুজো হয় আসানসোলে। এবারেও হল। আসানসোলের বার্ণপুরের দামোদর নদের তীরে ধেনুয়া গ্রামের কালীকৃষ্ণ যোগাশ্রমে এই পুজো হয়। একদিনের এই দুর্গাপুজো দেখতে বহু দর্শনার্থীর সমাগম হয় এই কালীকৃষ্ণ যোগাশ্রমে।


বহু দিন ধরেই এই কালীকৃষ্ণ যোগাশ্রমে মহালয়ায় একদিনের দুর্গা পুজো হয়ে আসছে। মহালয়ার দিন বুধবার ভোর থেকে শুরু হয় এই দুর্গা পুজো। প্রথমে ষষ্ঠীর বোধন। পরে সকালেই নবপত্রিকা স্নানের মাধ্যমে সপ্তমী পুজো শুরু হয়। একদিনেই ষষ্ঠী, সপ্তমী অষ্টমী ও নবমী ও দশমীর পুজো করতে হয় এখানে। একদিনের এই দুর্গা পুজো দেখতে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এই ধেনুয়া গ্রামে।


আশ্রমের সেবাইত নারায়ণ দত্ত বলেন, ১৯৭৯ সালে একদিনের এই দুর্গাপুজো সূচনা হয়েছিল। তেজানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। এখানে মা একচালার। তবে একচালার মা দুর্গার সঙ্গে এখানে গণেশ, কার্তিক, লক্ষী ও সরস্বতী-- কেউই থাকেন না। মা দুর্গার সঙ্গে এখানে থাকেন তাঁর দুই সখী-- জয়া ও বিজয়া। 


আরও পড়ুন: Liquor Price | Durga Puja Special: পুজোর মুখে দাম বাড়ছে মদের? ফেস্টিভ মুডে পুরোপুরি ঢোকার আগে ডিটেইলস জেনে নিন সমস্ত সুরারসিকেরা...


একদিনেই ষষ্ঠী-সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী ও দশমীর পুজোর পরে পুজো যথারীতি শেষ হয়। পুজোশেষে এদিনই নবপত্রিকা বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে মা দুর্গার প্রতিমাটি রেখে দেওয়া হয়। পুজোর শেষে বিসর্জনের সময়ে দশমীর দিনে অন্যান্য মণ্ডপের প্রতিমার সঙ্গে এই প্রতিমাকেও সেদিন বিসর্জন দেওয়া হয়। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)