`অরক্ষিত` বন্দে-ভারতে পাথর হামলা! হাই-টেক ট্রেনের সুরক্ষায় নয়া ব্যবস্থা পূর্ব রেলের
Vande Bharat Express: এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, আরপিএফ-কে দিয়ে সেনসেশন করা হচ্ছে। প্রয়োজনে লিফলেটও দেওয়া হবে। প্ল্যাটফর্মগুলোতে মাইকে ঘোষণা করা হবে। রেললাইন সংলগ্ন জনবসতিতেও প্রচার করা হবে।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: 'বন্দে ভারত'-এ পাথর হামলা! উদ্বোধনের ২ দিন পরই দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া ঢিল-পাথরে চিড় ধরল নতুন ট্রেনের দরজার কাচে। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে মালদহের কুমারগঞ্জ স্টেশনের কাছে, এনজেপি থেকে হাওড়াগামী ডাউন 'বন্দে ভারত' এক্সপ্রেসে। এই ঘটনা যেমন লজ্জার, তেমনই উদ্বেগের তো বটেই। ঘটনাটি ঘটেছে যদিও নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে এলাকায়, কিন্তু তা হলেও ইস্টার্ন রেলের এলাকায় যাতে এই ঘটনা যাতে না ঘটে সেই জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
'বন্দে ভারত'-এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ইস্টার্ন রেলের
রেলের তরফে প্রতিটি স্টেশন, যেখান দিয়ে এই 'বন্দে ভারত' এক্সপ্রেস যাবে, সেই সমস্ত স্টেশনে বিশেষ ঘোষণার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশেষ এই ঘোষণায় মানুষকে সচেতন করাই মূল লক্ষ্য। যেখানে প্ল্যাটফর্মগুলোতে মাইকে ঘোষণা করা হবে যে এই ট্রেন জাতীয় সম্পদ। এই ট্রেনকে রক্ষা করা সকলেরই দায়িত্ব। সে ক্ষেত্রে যেসব স্টেশনে এই ট্রেন থামবে না, সেই সমস্ত স্টেশনেও এই সংক্রান্ত বিশেষ প্রচার করা হবে। শুধু তাই নয়, ট্রেনটি যেসব এলাকা দিয়ে পাস করবে বা যাবে, সেইসব এলাকায় অর্থাৎ রেললাইন সংলগ্ন জনবসতিতেও এই সংক্রান্ত প্রচার করা হবে। এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, আরপিএফ-কে দিয়ে সেনসেশন করা হচ্ছে। প্রয়োজনে লিফলেটও দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত দরজার কাচ মেরামতির জন্য আইসিএফকে খবর দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন সময় লাগবে। অন্যদিকে, প্রথমদিন ঠান্ডা খাবার নিয়ে যে অভিযোগ ছিল, সেটারও সমাধান করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে যে কোনও বিবাদের বিষয় নেই তাও।
প্রসঙ্গত, 'বন্দে ভারত'-এর উপর হামলার ঘটনার বিবরণ দিয়ে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর জমা দিয়েছে নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে। পাশপাশি ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে রেলমন্ত্রকে। যেহেতু বাইরে থেকে ট্রেনের উপর পাথর ছোঁড়া হয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের দায়িত্ব, সেই কারণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে যাতে এই ঘটনার দিকে। ডাউন 'বন্দে-ভারতে'র সি ১৩ কোচে পাথর ছোড়া হয়। পাথরের আঘাতে দরজার কাচে চিড় ধরে! ট্রেন যখন মালদহ টাউন স্টেশনে থামে, তখন ঘটনাটি নজরে পড়ে। তারপরই শুরু হয় শোরগোল।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারকে তুলোধনা করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য। কড়া ভাষায় টুইটে তোপ দেগে তিনি লিখেছেন, 'উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের সংযোগের জন্য বাংলার ভীষণভাবেই বিশ্বমানের পরিকাঠামো প্রয়োজন। কিন্তু যখনই সড়ক পরিবহন বা বিমানবন্দরের কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের জরুরি প্রয়োজন পড়েছে, তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাধ সেধেছে। এমনকি এখন বন্দে ভারতের সুরক্ষাও পর্যন্ত নিশ্চিন্ত করতে পারছেন না। অত্যন্ত লজ্জার এই ঘটনা! তাঁকে ধিক্কার।' এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, 'ট্রেন আমাদের সবার। ট্রেনে যারা পাথর ছোঁড়ে, তারা অপরাধী। পুলিস তাদের শাস্তি দিক।'
আরও পড়ুন, যাত্রী পরিষেবা শুরু তারাতলা-জোকা মেট্রোয়, ফার্স্ট বয় সেই প্রভাত-ই