Egra Blast: এগরায় বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২ মহিলাও
Egra Blast:কারখানায় যারা কাজ করতেন তাদের অনেকেই মহিলা। এখনওপর্যন্ত ২ মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, বহু মানুষ মারা গিয়েছে। কারণ ওই কারখানায় কাজ করতেন অনেকেই। বিস্ফোরণের পর কারখানার পাশের জমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দেহাংশ
কিরণ মান্না: বাজি কারখানায় একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। বিস্ফোরণের দাপটে উড়ে গিয়েছে কারখানার ছাদ। মৃতদেহ ছিটকে গিয়ে পড়ে কয়েক মিটার দূরের পুকুরে। কারখানার চারদিকে ছড়িয়ছিটিয়ে পড়ে দেহাংশ। ভয়ঙ্কর ওই বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। এদের মধ্যে ২ মহিলাও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। অন্যদিকে, ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-'অনেক কড়া পদক্ষেপ নিতে পারতাম...', চাকরি বাতিল করে ববিতাকে কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?
ওড়িশা সীমান্ত ঘেঁসা ওই বাড়িটি গ্রামের বাইরের দিকে। আগেও ওই বাজি কারখানায় পুলিসে রেইড হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই লুকিয়েচুরিয়ে চলছিল বাজি তৈরি। তার মধ্যেই ওই বিস্ফোরণ। ভানু বাগ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেই ছিল ওই বাজি কারখানা। পুলিসকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। আজ বিস্ফোরণের পর যখন পুলিস আসে সেইসময় লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিসকে তাড়া করে গ্রামবাসী। পুলিসকর্মীদের মারধরও করা হয়। পরে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিস। কারখানার পাশে যে পুকুর রয়েছে সেখানে আরও মৃতদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডুবুরি নামিয়ে চলছে তল্লাশি। মোট ১৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিস্ফোরণের পরই ওই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করে শাহকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। এনআইএ তদন্তে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে সিপিএমও। তবে ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কে নেই বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘঠনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, এগার বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তে আপত্তি নেই। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বম্ব স্কোয়াড। অন্য়দিকে, বিস্ফোরণ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রাজ্যে বিস্ফোরকের স্তূপে পরিণত হয়েছে। ঈশ্বর বাংলাকে রক্ষা করুন।
কারখানায় যারা কাজ করতেন তাদের অনেকেই মহিলা। এখনওপর্যন্ত ২ মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, বহু মানুষ মারা গিয়েছে। কারণ ওই কারখানায় কাজ করতেন অনেকেই। বিস্ফোরণের পর কারখানার পাশের জমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দেহাংশ। এবার পুকুরে তল্লাশিতে আরও অনেকের দেহ উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যে দুই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে তাদের এখনও সনাক্ত করা যায়নি। অধিকাংশ মৃতদেহ এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে যে তাদের সনাক্ত করা অত্যন্ত দুরুহ। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত লাশ সরিয়ে নিচ্ছে। মেতায়েন করা হয়েছে RAF, কমব্যাট ফোর্স।