নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ইদ-উল-ফিতর। একমাস উপবাসের শেষ ইদ পালন করা হয়। যাঁরা সারা মাস উপবাস করেছেন তাঁদের কাছে এদিনের আনন্দই আলাদা। তবে এবার লকডাউন ও করোনাভাইরাসের কারণে ইদের খুশি একেবারেই ম্লান। কোনও সমাবেশ করে নামাজ পড়া হবে না। রেড রোডেও ইদের জামাত হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ইদের খুশি, ক্যান্সার রোগী কল্পনার অপারেশনের জন্যে রক্ত দিতে সিউড়ি ছুটে এলেন নুরুল হক


শনিবারই দিল্লির জামা মসজিদের ইমাম ঘোষণা করেছিলেন রবিবার ইদ পালন করা হবে। কারণ এদিনে মাসের শেষ দিন। শনিবারই উপসাগর-সহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ইদ পালিত হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের কেরলেও এদিন ইদ পালন করা হয়েছে। জামা মসজিদের ইমাম ঘোষণা করেছিলেন, নামাজের শেষে হাত মেলাবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।


শনিবার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেছেন, দয়াকরে মসজিদে গিয়ে ইদের নামাজ নয়। এখন সব ধর্মীয় সমাবেশ নিষিদ্ধ। আমি প্রতিবছর ইদের জামাতে যাই। এবার পারলাম না। ঘরে বসেই এবার ইদের নামাজ পড়ুন।


ইদ পালন নিয়ে কী বললেন নাখোদা মসজিদের ইমাম


কলকাতার নাখোদা মসজিদের ইমাম মাওলানা মহম্মদ সফিক কাশেমি বলেন, গোটা দেশের মানুষকে ইদের শুভেচ্ছে জানাচ্ছি। ইদ সবার জীবনে খুশির জোয়ার বয়ে আনুক। প্রার্থনা করি দেশ থেকে করোনা ভাইরাস দূর হোক। মানুষের ভালো হোক।


লকডাউনের মধ্যে এবার ইদ পালন নিয়ে সফিক সাহেব আরও বলেন, এবার ইদে কোনও জামাত হচ্ছে না। দেশে ধর্মীয় সহ অন্যান্য জমায়েত নিষিদ্ধ হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মেনে চলুন। মসজিদে ৩-৪ জন নিয়ে এবার এখানে নামাজ হবে। বাকিরা ঘরেই ইদের নামাজ পড়বেন। নামাজের পরে যে কোলাকুলি বা হাত মেলানোর রেওয়াজ রয়েছে তা এবার হবে না। দূর থেকেই শুভেচ্ছে বিনিময় করুন। নামাজের পর আমার একে অন্যের বাড়িতে আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। সেটা এবার করবেন না। ঘরে পুরনো যেসব কাপড় রয়েছে তার মধ্যে থেকে ভালো পোশাকটি পরে ইদ করুন। নতুন কাপড়ের টাকা গরিব মানুষকে দান করুন।