Malbazar: সত্তর বছরের বৃদ্ধ, হাতি দেখে পা আটকে গেল মাটিতে, তারপর....
Malbazar: ঘর থেকে বেরিয়ে বহু মানুষ হাতির মুখোমুখি হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায়।ঠিক এক বছর আগে এই সময়েই কীর্তন শুনতে বেরিয়ে হাতির দলের সামনে পড়ে গেলেন গ্রামের একদল মহিলা ও শিশু
অরূপ বসাক: বুনো হাতির হামলায় কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচলেন বৃদ্ধ। মঙ্গলবার সকালে মালবাজারের নাগরাকাটা ব্লকের সুলকাপাড়া পঞ্চায়েত এলাকায় খয়েরবাড়িতে ঘর থেকে বেরিয়ে জমির দিকে যাচ্ছিলেন। ঘর থেকে বেরিয়েই পড় যান ওই হাতির সামনে। বিশালাকার পশুটি ওই বৃদ্ধকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে শূন্য তুলে আছাড় মেরে চলে যায়। এমনটাই জানিয়েছেন পাড়াল লোকজন।
আরও পড়ুন-মুম্বইয়ে খুলছে দেশের প্রথম অ্যাপল স্টোর, ১০ পয়েন্টে জেনে নিন Apple BKC সম্পর্কে
আহাত বৃদ্ধের নাম সামসুল হক(৭০)। সকালে নিতি যখন জমিতে যাচ্ছিলেন তখন তার সঙ্গে ছিলেন আরও ২ জন। তারা পালাতে পারলেও তিনি পারেননি। সামসুলকে ধরে ফেলে হাতিটি। তাক আছাড় মারে হাতিটি। আহত সামসুলকে স্থানীয় সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পাড়ার লোকজন। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিত্সার পর তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি সুার স্পেশালিটি হালপাতালে। সামসুল হককে আছাড়া মারা ছাড়াও পাড়ার একটি রান্না ঘরকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ওই হাতিটি।
ঘর থেকে বেরিয়ে বহু মানুষ হাতির মুখোমুখি হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায়।ঠিক এক বছর আগে এই সময়েই কীর্তন শুনতে বেরিয়ে হাতির দলের সামনে পড়ে গেলেন গ্রামের একদল মহিলা ও শিশু। পালানোর আগেই হাতির দল চড়াও হয় তাদের উপরে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হল ২ মহিলার। আশঙ্কাজনক ১ শিশু ও মহিলা। শনিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের প্রধানপাড়ায়।
শনিবার রাত নটা নাগাদ মাদারিহাটের প্রধানপাড়ার কয়েকজন মহিলা ও শিশু বেরিয়েছিলেন কীর্তন শুনতে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুদূর যেতেই তারা পড়ে যান হাতির পালের সামনে। পালানোর আগেই হাতির হামলায় মারাত্মক আহত হন প্রমীলা শর্মা, রেনুকা ছেত্রী, ভগবতী ছেত্রী ও এক শিশু।
হামলার খবর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আহতদের উদ্ধার করে গ্রামের লোকজন। সঙ্গেসঙ্গেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় মাদারিহাট হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে তাদের তাদের আলিপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ তাদের সেখান থেকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় রেনুকা ছেত্রী ও ভগবতী ছেত্রীর। আশঙ্কাজনক রেনুকা শর্মা ও শিশুটি। তাদের চিকিত্সা চলছে মেডিক্যাল কলেজে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, গ্রামের রাস্তায় আলো দিতে হবে।