নিজস্ব প্রতিবেদন:  মোমোকাণ্ডে গ্রেফতার  এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল অরিন্দম পাত্র নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। তিনি দুর্গাপুর বিসি রায় কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। শুক্রবার সকালে তাঁকে কেতুগ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিশ সূত্রে জানা যায়,  গত মঙ্গলবার রাতে কাটোয়া কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জয়কৃষ্ণ পালকে মোবাইলে মোমো খেলার প্রস্তাব দিয়ে মেসেজ পাঠিয়েছিল এই যুবক। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই যুবক। স্থানীয় থানায় গিয়ে যোগাযোগ করেন। তদন্তে নামে পুলিস। তদন্তে জানা যায়, কেতুগ্রামেরই এক যুবকের কাছ থেকে ওই মেসেজ এসেছিল। ফোনের সূত্র ধরেই অরিন্দমের কাছে পৌঁছয় পুলিস।


সম্ভ্রান্ত পরিবার, চেহারায় ভদ্রতার ছাপ, চোখমুখ নিষ্পাপ, বুদ্ধিমান, মেধাবী- ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই ছাত্র কেন এমনটা করতে গেলেন, তা ভাবাচ্ছে পুলিসকেও।


শুক্রবারই অরিন্দম পাত্রকে কাটোয়া মহুকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারপতি বিশাল মঙ্গোত্রী বিভিন্ন শর্তে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। বিচারপতির আদেশ অনুসারে সোশ্যাল মিডিয়া,  ফেসবুক,  টুইটার ব্যবহার করতে পারবেন না ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। সপ্তাহে একদিন থানায় হাজিরা দিতে হবে।


আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ভাত খায়, তারপরই অসাড় যায় দেহ, পরিণতি মর্মান্তিক


এদিকে, এখনও রাজ্য জুড়ে চলছে মোমো আতঙ্ক। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের কাঙ্গনবেড়িয়া পাঁজা পাড়ায় এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রের মোবাইলে অজানা নম্বর থেকে মেসেজ আসে। তাতে লেখা ‘Hi, I am momo’


শুধু মেসেজই নয়, +1 (315) 320 -6698 নম্বর থেকে ভিডিও কলও আসে। জানা যায়, যখন ভিডিও কলটি আসে, তখন অফলাইন ছিলেন ছাত্রটি। পরে তিনি যখন অনলাইন হন, তখন বিষয়টি দেখতে পান। ছাত্রটি তাঁর যে যে বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, তার ভয়েস লিঙ্কও পাঠানো হয়েছে সেই নম্বর থেকে। ছাত্রের পরিবারের তরফে সাইবার ক্রাইম থানায় যোগাযোগ করা হয়েছে।