কাশ্মীরে শহীদ ধূপগুড়ির জওয়ান, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও হল না চাকরি
শহীদ জগন্নাথ রায়ের স্ত্রী তাপসী রায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরী তিনি গ্রহণ করতে পারছেন না কারণ তার সন্তানের বয়স মাত্র চার বছর। তাকে রেখে বাইরে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া সম্ভব নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের পশ্চিম শালবাড়ি এলাকায় গত বছরের ২৯মার্চ ঢল নেমেছিল নেতা,মন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষের। এই এলাকারই এক সাধারণ ঘরের ছেলে এক মূহুর্তে নিজের আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন শহীদের খাতায়।
২০২১ এর ২৫ মার্চ কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় আহত হন ধূপগুড়ির পশ্চিম শালবাড়ি এলাকার সিআরপিএফ জওয়ান জগন্নাথ রায় সহ আরও ৫ জন জওয়ান। এরপর চিকিৎসা চলাকালীন ২৯ মার্চ মৃত্যু হয় তার। মরদেহ নিয়ে আসা হয় পশ্চিম শালবাড়িতে। সেসময় চোখের জলে বীর শহীদকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সবাই।
স্থানীয় নেতা,মন্ত্রী,জনপ্রতিনিধিরা এসে ভরসার হাত এগিয়ে দিয়েছিলেন এই অসহায় শহীদ পরিবারের প্রতি। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছিলেন শহীদ জগন্নাথ রায়ের স্ত্রীর রাজ্য সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ধীরে ধীরে এই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ কমেছে জনপ্রতিনিধিদের। শহীদের স্ত্রীর পেনশন চালু হলেও সেই টাকা দিয়ে পরিবার চালানো,সন্তানের পড়াশুনার খরচ বহন করা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।
শহীদ জগন্নাথ রায়ের স্ত্রী তাপসী রায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরী তিনি গ্রহণ করতে পারছেন না কারণ তার সন্তানের বয়স মাত্র চার বছর। তাকে রেখে বাইরে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাস পেয়ে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু ধূপগুড়ি ও জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক স্তরে কোনোভাবেই এই বিষয়ে সাহায্য পাননি বলে তার আক্ষেপ।
আরও পড়ুন: মিছিল থেকে ছোঁড়া হয় জ্বলন্ত বাজি? ঝালদা পুরনো থানা আগুনে মামলা রুজু পুলিসের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হলে হয়তো এতদিনে তার একটা কর্মসংস্থান হয়ে যেত বলে আশাবাদী তাপসী দেবী। অন্যদিকে শহীদ জগন্নাথ রায়ের মা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন তাঁর বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তিনি বার্ধক্য ভাতা পাননি। এমনকি বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি বলেই তাঁর অভিযোগ।
এই শহীদ পরিবার এখন দিন গুনছে কতদিনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের খবর পৌছায় আর কতদিনে একটা কর্মসংস্থান হয়।