মৌমিতা চক্রবর্তী ও সৌরভ পাল


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্মার্টফোন তো দূর মোবাইল ফোনই ব্যবহারই করেন না, তার আবার ইন্টারনেট কানেকশেন, আর ফেসবুক! সমাজ বদলের কাণ্ডারি হলেও সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে দূর দূর পর্যন্ত কোনও সম্পর্কই নেই বিমান বসুর। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে হয় আলিমুদ্দিনের টেলিফোন বাজাতে হয় কিংবা চিঠি পাঠাতে হয় মুজাফ্ফর আহমেদ ভবনের ঠিকানায়। যদিও পার্টি কর্মী-সমর্থকদের কাছে এক কাপড়ের ‘বিমান দা’র একমাত্র ঠিকানা আলিমুদ্দিনের ছাদের একটা ঘর। চারিদিকে বই, তার মাধ্যেই বাস বর্ষীয়ান কমরেডের। এহেন নেতার ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট দেখে তো ভিরমি খাওয়ার জোগাড়! প্রোফাইলের নাম-বিমান ছিপেম বসু। 


আরও পড়ুন- 'দল বদল' করলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা!


ফেসবুকে বিমান বসুর নামে খোলা হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। আর সেই অ্যাকাউন্টে একের পর এক শেয়ার করা হচ্ছে আপত্তিকর ছবি। পোস্ট করা হয়েছে ‘জয় শ্রীরাম’ও। গোটা বিষয়টি সবার প্রথমে রাজ্য নেতাদের নজরে নিয়ে আসেন এক পার্টি কর্মীই। যা দেখে তত্পর হয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব।


আরও পড়ুন- তৃণমূলের জুলুম থেকে মুক্তি মিলবে শীঘ্রই : মোদী


ফেসবুকে ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করে তিনি লেখেন- “এই প্রোফাইলে কেউ রিপোর্ট করবেন না। পার্টি নেতৃত্বের কাছে এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি”। এরপরই এই বিষয়ে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেয় রাজ্য সিপিএম। আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর গোটা বিষয়টি লালবাজারের সাইবার সেলে জানাবেন তাঁরা। এবং অবলিম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিও জানাবে সিপিএম।


আরও পড়ুন- দেওয়াল জুড়ে "টাটা বাইবাই"! এর মানে কী?


উল্লেখ্য, শুধু বিমান বসুই নন, ফেসবুক কারবারিদের খপ্পরে পড়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও। তাঁর নামেও রয়েছে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, তাতে আবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নামের পাশেই লেখা আনঅফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট। তবে এই প্রোফাইলে ‘বুদ্ধবাবুর ফেসবুক বন্ধু’র তালিকায় আছেন মানস মুখোপাধ্যায়, তাপস সিনহা, মদন ঘোষ, অমল হালদারের মতো নেতারা। এই প্রোফাইলের বন্ধু সংখ্যা ৫ হাজারের কাছাকাছি হলেও প্রোফাইলটির নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।