নিজস্ব প্রতিবেদন:  আর আইনি লড়াই নয়। নিহত বিজেপি (BJP) কর্মী উলেন রায়ের (Ulen Roy) দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি থেকে সরলেন পরিবারের লোকেরা। তাঁদের আইনজীবী সৌজিত সিংহ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনেকাংশেই সন্তোষজনক। মানবিক কারণে মামলা দীর্ঘায়িত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'কী অপরাধ করেছিলাম!', জলপাইগুড়ির সভায় আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)


কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নয়, আইনি লড়াই শেষ হল জলপাইগুড়ি CJM আদালতেই। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত না করে নিহত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের (Ulen Roy) দেহ পাওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাল তাঁর পরিবারের লোকেরা। সিদ্ধান্ত বদলের কারণটা কি? পরিবারের তরফে উলেন রায়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখতে চেয়ে  সোমবার আবেদন করা হয় জলপাইগুড়ি CJM আদালতে। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় পুলিশ। নিহতের পরিবারের হয়ে যিনি মামলা লড়ছিলেন, সেই আইনজীবী সৌজিত সিংহ (Soujit Sinha) ময়নাতন্তের রিপোর্ট দেখেন। তিনি বলেন, রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে গুলির আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের সময়ে উপস্থিত ছিলেন ৩ চিকিৎসকও। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও উলেন রায়কে লাঠি ও বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয়েছিল। সেই আঘাতের বিষয়টির অবশ্য উল্লেখ নেই ময়নাতন্তের রিপোর্টে। তাহলে? আইনজীবী সৌজিত সিংহ জানিয়েছেন, বন্দুক বা বাঁট দিয়ে আঘাতের কথা উল্লেখ না থাকলেও, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অনেকাংশে সন্তুষ্ট তাঁরা। মৃত্যুর খবর পেলেও আইনি জটিলতার কারণে এখনও শেষবারের মতো বাবাকে দেখার সুযোগ পায়নি উলেন রায়ের দুই সন্তান। মানবিকতার খাতিরে  লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: Election Commission -এ গেল BJP, এখনই আদর্শ আচরণবিধি লাগু ও ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি


প্রসঙ্গত, ৭ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে (Siliguri) উত্তরকন্যা (Uttorkanya) অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে মারা যান বিজেপি কর্মী উলেন রায়(Ulen Roy)। পরিবারের অভিযোগ ছিল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (North Bengal Medical college and Hospital) ময়নাতদন্তে কারচুরি করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়ে জলপাইগুড়ি CJM আদালতের দ্বারস্থ হন নিহতের বোন। সেই আবেদন মেনেও নেয় আদালত। কিন্তু আদালতের নির্দেশ আর কার্যকর হয়নি, উল্টে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে মামলা করে প্রশাসন। জলপাইগুড়ি CJM আদালতের নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়। তবে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আবেদন কিন্তু বহাল ছিল! এরপর হাইকোর্টে মামলা করার কথা জানিয়েছিলেন উলেন রায়ের পরিবারের আইনজীবী। শেষপর্যন্ত  অবশ্য আর সে পথে হাঁটলেন না তাঁরা।