Election Commission -এ গেল BJP, এখনই আদর্শ আচরণবিধি লাগু ও ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি

ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার রাজ্যে আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার  Sudeep Jain। তার আগে দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ জানিয়ে এল বিজেপি।

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Dec 15, 2020, 06:01 PM IST
Election Commission -এ গেল BJP, এখনই আদর্শ আচরণবিধি লাগু ও ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভূতুড়ে ভোটার ধরতে বাংলার ভোটার তালিকা অডিট করবে নির্বাচন কমিশন। Election Commission -এর দফতর থেকে বেরিয়ে, এই আশ্বাস মিলেছে বলে দাবি করলেন BJP নেতারা। ভোটের অনেক আগে, এখন থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি চালু করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার রাজ্যে আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার  Sudeep Jain। তার আগে দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ জানিয়ে এল বিজেপি। প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta) , লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), সব্যসাচী দত্তরা (Sabyasachi Dutta)। কমিশনে তাঁরা দাবি জানান, ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের জন্য গোটা রাজ্যের তুলনায়, সীমান্ত এলাকায় ভোটারের সংখ্যা বেশি বেড়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে এখন থেকেই চালু করে দিতে হবে আদর্শ আচরণবিধি। ভোটপর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। তৃণমূলের সরকারি কর্মচারি সংগঠনের সদস্যদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।  

প্রসঙ্গত, ভোটগ্রহণের আগে যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সারতে, সাধারণভাবে কোনও নির্বাচনের ২৮ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ভোটের দিন ঘোষণার পরই চালু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি। বন্ধ হয়ে যায় নতুন কোনও সরকারি প্রকল্প ঘোষণা। তবে, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে ১৫ ধারায় বলা আছে বিধানসভার মেয়াদ শেষের ৬ মাসের আগে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না। এপ্রসঙ্গে সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তও বলেন, "নির্বাচনী আইনে ভোটের ৬ মাস আগে আর্দশ আচরণ বিধি লাগু করার ব্যবস্থা আছে। বাংলার পরিস্থিতির বিচারে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন। সীমান্ত এলাকায় ভোটার তালিকায় অনেক ভুয়ো ভোটার রয়েছে। তাই ভোটার তালিকা অবিলম্বে সংশোধন প্রয়োজন।"

এখন আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজ্যের পুলিস-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন উপনির্বাচন কমিশনার। আইন-শৃঙ্খলা সহ যাবতীয় বিষয়ে প্রশাসনের কাছে পৌঁছে যাবে কমিশনের নির্দেশ। তার আগেই নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজেদের দাবি, অভিযোগ জানিয়ে রাখল গেরুয়া শিবির। উপ-নির্বাচন কমিশনার সবটাই সরেজমিনে দেখবেন বলে তাদের দাবি। 

আরও পড়ুন, 

'JMB জঙ্গিদের দিয়ে ভোটে জিততে চাইছে TMC', ফের বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপের(Dilip Ghosh)

লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ জয়, সমস্যা মিটিয়ে একসাথে চলতে দলীয় নেতৃত্বকে কড়া নির্দেশ তৃণমূল নেত্রীর

 

.