নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে খুন করে বাড়িতেই কবর দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল নিহত মা ও সন্তানের দেহ। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের সুজালি গ্রামপঞ্চায়েতের হলুগছ এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকবর আলম। হলুগছ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্ত্রী নূরজাহান ও শিশুসন্তান রিজওয়ানের উপর প্রায়ই অত্যাচার চালাতেন আকবর। এদিন অভিযুক্তের বাড়িও জ্বালিয়ে দেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার সকালে সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হলুগছ গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, আকবর আলম তাঁর স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে খুন করে বাড়িতেই কবর দিয়ে দিয়েছেন। আকবরের বাড়িতে কবরের মতো উঁচু করা নরম মাটি দেখেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় অভিযুক্ত আকবর আলমের খোঁজ। কিন্তু অভিযুক্ত আকবর ও তাঁর পরিবারের কোনও খোঁজ না পেয়ে এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রায় হাজার সংখ্যক গ্রামবাসী জমায়েত হয়ে যায় আকবরের বাড়ির সামনে। এরপরই উত্তেজিত জনতা আকবরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।


আরও পড়ুন, 'এটা করতে পারেন না রাজ্যপাল', চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ রাজ্যের পুলিস মহল, আগুনে ঘি সায়ন্তনের মন্তব্য


আরও পড়ুন, মেঝেতে রক্তাক্ত স্ত্রী, ঘরে ঝুলছে স্বামী, মেয়ে সরস্বতী পুজোয় স্কুলে- মর্মান্তিক ঘটনা পঞ্চসায়রে


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইসলামপুর থানার বিরাট পুলিসবাহিনী। শেষে সন্দেহভাজন ওই কবর খুঁড়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামপুর থানার পুলিস। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে কবর খুঁড়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর খুঁড়তেই সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে আকবরের স্ত্রী নূরজাহান ও সন্তান রিজওয়ানের দেহ। এই ঘটনায় দোষী আকবর আলমের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে এলাকাবাসী। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। সব মিলিয়ে গ্রামে এখন চরম উত্তেজনা।