সোমা মাইতি: রাজ্যে সমবায় ভোটে অশান্তি অব্যাহত। গুলি চলল মুর্শিদাবাদে? অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। আতঙ্কে ভোটাররা। ধুন্ধুমারকাণ্ড নওদায়।  'যাদের পাশে মানুষের আর্শীবাদ থাকে, তাদের কি সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করতে হয়'? পাল্টা প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঠিক কী? মুর্শিদাবাদের নওদার চাঁদপুর সমবায় সমিতিতে আসন সংখ্য়া ৯। সমবায় নির্বাচনে এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে বাম ও কংগ্রেস। সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তারা। এদিন সকাল থেকে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা ছিল এলাকায়। আর বেলা গড়াতেই গুলি চলল!


চাঁদপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে ভোটার ৯৪১ জন। ঘড়িতে তখন সকাল ১০টা। শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিরোধীর অভিযোগ, সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোটদানে বাধা দিচ্ছিলেন তৃণমূলকর্মীরা। এমনকী, যাঁরা বাধা উপেক্ষা করে ভোট দিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের মারধরও করা হয়। শেষে নাকি গুলিও চলে! পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। 


আরও পড়ুন: SSC Scam: ভুয়ো গ্রুপ ডি কর্মীর তালিকায় স্ত্রীর নাম, আজব যুক্তি দিলেন যুব তৃণমূল নেতা


এই ঘটনার রাজ্যের শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'ওখানকার যাঁরা তৃণমূলের হার্মাদবাহিনী, তাঁরাই গুলি চালিয়েছে। তৃণমূলে মানে নির্যাতন, পুলিস ও হার্মাদবাহিনী যৌথ আক্রমণ, এটা জেনেই তো  আমরা নির্বাচন করছি। যদি গুলি না চালায়, বোমা না মারে,তাহলে তৃণমূল দলে কি স্থান হবে'? সিপিএম নেতার সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বোমা-বন্দুক সব উদ্ধার করবেন। সাত মাস হয়ে গিয়েছে, মুখ্য়মন্ত্রীর কথার কোনও গুরুত্ব নেই'। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, 'পুলিসের কাজ বিজেপি আটকানো, আর দুটি বাড়ি পাহারা দেওয়া। পুলিসকে অন্য কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না'।


বিরোধীদের অভিযোগে জবাবে 'মানুষের আর্শীবাদ'-কে হাতিয়ার করেছে রাজ্যের শাসকদল। সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, 'তৃণমূল কংগ্রেস প্রতি মুহুর্তে মানুষের আর্শীবাদে পুষ্ট হচ্ছে, প্রতিটি নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পগুলিকে সামনে রেখে আগের থেকে আরও বেশি ভোটে জয়লাভ করছে।  যাদের পাশে মানুষের আর্শীবাদ থাকে, তাদের কি সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করতে হয়'? 



এর আগে, সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা। সংঘর্ষে আহত হন ৮ জন। এমনকী, মাথা ফাটে ভোটারেরও!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)