SSC Scam: ভুয়ো গ্রুপ ডি কর্মীর তালিকায় স্ত্রীর নাম, আজব যুক্তি দিলেন যুব তৃণমূল নেতা
ভুয়ো কর্মীর তালিকায় প্রিয়াঙ্কার নাম থাকার অভিযোগ নিয়ে তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, মেইল করে আমাদের কাছ থেকে গ্রুপ ডি-র কর্মীদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। যা যা তথ্য চাওয়া হয়েছে তা জানিয়ে দেব
প্রদ্যুত্ দাস: গ্রুপ ডি-তে ভুয়ো চাকরি প্রাপকদের তালিকায় তৃণমূল নেতার স্ত্রী নাম থাকাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় জলপাইগুড়ি। তবে ওই নেতার দাবি, বিয়ের আগেই চাকরি পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী। যে মহিলার বিরুদ্ধে ভুয়ো চাকরির অভিযোগ উঠছে তাঁর দাবি, সাদা খাতা জমা দিয়ে তিনি চাকরি পাননি। এনিয়ে অবশ্য ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-অরিজিৎ 'গেরুয়া' গেয়েছিলেন ১৫ তারিখ, অনুষ্ঠান বাতিল হয় ৮ ডিসেম্বর! তবু বিতর্ক?
সাদা খাতা জমা দিয়ে বা অন্য কোনও উপায়ে শিক্ষক বা গ্রুপ ডি-তে চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। এমনই উঠে আসছে তদন্তে। তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেই তালিকায় নাম রয়েছে জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজয় শাহ-র স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা ঘোষের নাম। তিনি এখন কাজ করছেন জলপাইগুড়ির সারিয়াম যশোধরা হাইস্কুলে।
এনিয়ে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন জেলা বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ। তিনি বলেন, সবেমাত্র কয়েকজন তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যের নাম উঠে এসেছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে তৃণমূল নেতাদের মুখোশ খুলে যাবে।
অন্যদিকে, অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও স্কুলে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা অজয় শাহ। সাদা খাতা জমা দেওয়া নিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, সাদা খাতা আমি জমা দিইনি। মোট ৪৫টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম। বিচারাধীন মামলা বলে কিছু বলছি না। তবে প্রয়োজনে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাব।
ভুয়ো কর্মীর তালিকায় প্রিয়াঙ্কার নাম থাকার অভিযোগ নিয়ে তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, মেইল করে আমাদের কাছ থেকে গ্রুপ ডি-র কর্মীদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। যা যা তথ্য চাওয়া হয়েছে তা জানিয়ে দেব।
স্ত্রীর চাকরির সঙ্গে নিজের নাম জড়ানোয় প্রবল অস্বস্তিতে অজয় শাহ। তাঁর দাবি,'আমাদের বিয়ে হয় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। এবং স্ত্রী চাকরি পেয়েছেন ২০১৮ সালে। তাই রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য বিরোধীরা আমার নাম জড়াচ্ছেন।আমার স্ত্রী বৈধ্যভাবে চাকরি পেয়েছেন। অনেকে যারা সাদা খাতা বা দুই একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে তারা বেশীরভাগ ৪৩ নম্বর পেয়েছে। আমার স্ত্রীও যেহেতু ৪৩ নম্বর পেয়েছে লিখিত পরীক্ষায় সেজন্য সিবিআই ভাবছে ৪৩ নম্বর পাওয়া মানে ভুয়ো। আমরা বরাবর বলে আসছি সিবিআই পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করছে।'