নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্মতলায় মাদলের সুর নেই, রাজপথ ধরে মিছিল নেই। ট্রেনে-বাসে চেপে, নৌকোয় চড়ে কলকাতায় যাওয়ার হিড়িক নেই। নেই স্লোগান, নেই ডোরিনা ক্রসিংয়ের জনবিস্ফোরণ।  অনেক কিছু না থাকলেও একুশের আবেগকে সঙ্গে নিয়েই পালিত হল একুশে জুলাই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার দাপটে এ বছর ভার্চুয়াল সমাবেশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাড়ায় পাড়ায় জায়ান্ট স্ক্রিন, লাউড স্পিকার লাগিয়ে চলল সম্প্রচার। লাইভ টেলিকাস্ট হয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও। দুপুর একটা থেকেই রাজ্যের ব্লকে ব্লকেও শহিদস্মরণে নেতাকর্মীরা।


আরও পড়ুন: তৃণমূলের শহিদ দিবসের পাল্টা বিজেপির প্রহসন দিবস, ধুন্ধুমার আমহার্স্ট স্ট্রিটে


আগামী বছর ২১ মে ঐতিহাসিক সভা। এ বছর তাই ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকেই মঙ্গলবার একের পর এক  চ্যালেঞ্জ ছুড়েদিয়েছেন বিজেপিকে। বাংলা কেন প্রথম সারিতে তারও একাধিক কারণ দর্শিয়েছেন নেত্রী। সবমিলিয়ে আজকের একুশের মঞ্চ থেকে একুশ জয়ের কনফিডেন্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


কোভিড কিস্সা: দিল্লি ছোট্ট জায়গায়, বাংলার মতো নয়। অন্যরাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা হয় না। প্রচুরমানুষ যাতায়াত করে। তাঁদের সঙ্গে কোভিডও এখন একটু বেড়েছে। তবে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। বাংলায় বর্তমানে ১৮০০ বেড, ১১০০০ হাসপাতাল এবং ৭ হাজার সেফ হোম আছে। ৩১ অগাস্টের মধ্যে তা সাড়ে ২৩০০০ হয়ে যাবে। এখন প্রতিদিন ১৩ হাজার টেস্ট হচ্ছে। ১৫ অগাস্টের মধ্যে ২৫০০০-এর মধ্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে। ডেথ রেট ২.৬। তা কমানো হবে। আমাদের রাজ্যে উপসর্গহীন ৮৭ শতাংশ। সামান্য উপসর্গ ৮ শতাংশ। গুরুতর সংক্রমণ ৫ শতাংশের। আমামাদের ডিসচার্জ রেট ৬০ শতাংশ।


আরও পড়ুন: 'মৃত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর, গুলি-বন্দুক-জেলকে ভয় পাই না'


আমফানে 'ভুল': আমফান ও বুলবুল ক্ষতিগ্রস্ত ৫২ লক্ষ পরিবারকে টাকা দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আমপানে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আমপান ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ক্ষতি ছাড়া হয়েছে।


আজীবন রেশন: ১০ কোটি মানুষকে ফ্রিতে রেশন দেওয়া এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সারা জীবন ফ্রিতে রেশন, ফ্রিতে স্বাস্থ্য পাবেন। 


একশো বছর বিদ্যুত: বীরভূমের সাড়ে তিন হাজার একর কয়লাখনি বাংলা হাতে পাওয়ায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল সভায় বললেন, যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে তাতে বাংলাকে আর অন্য কোনও রাজ্য থেকে বিদ্যুত ধার করতে হবে না, আগামী ১০০ বছর বাংলা নিজেই নিজের বিদ্যুৎ জোগাবে। কয়লার ক্ষেত্রেও এই একই নিদান নেত্রীর।


আরও পড়ুন:  কোন ১৩ জন শহিদের স্মরণে পালিত হয় ২১ জুলাই? ২৭ বছর আগে কী ঘটেছিল সেদিন?


পয়লা নম্বরে বাংলা: বাংলার একটা নিজস্বতা রয়েছে। দারিদ্য দূরীকরণে, একশো দিনের কাজে, ক্ষুদ্র শিল্পে, আবাসন নির্মাণ, গ্রামে রাস্তা নির্মান ও সংখ্যা লঘু উন্নয়নে বাংলা ১ নম্বরে রয়েছে। বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। আশাকর্মীদের মাইনে বাড়ানো হয়েছে।


পাশে সরকার: সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হয়েছে। দিদিকে বলোতে শুনে ৬ লক্ষ মানুষের পেনশন করে দিয়েছিলাম। রাজ্য সরকার যে চাল দেয় তা এখানকার কৃষকদের ফলানো। গোটা দেশে সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ আমাদের এখানের ভাই বোনরা পান। ২ কোটি ৩৮ লাখ ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপ পেয়েছে।