'মৃত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর, গুলি-বন্দুক-জেলকে ভয় পাই না'

অন্য রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, এরা কখনও রাজবংশীদের সঙ্গে কামতাপুরীদের লাগিয়ে দিচ্ছে, কখনও হিন্দুদের সঙ্গে মুসিলমদের লড়াই লাগিয়ে দিচ্ছে

Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Jul 21, 2020, 05:46 PM IST
'মৃত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর, গুলি-বন্দুক-জেলকে ভয় পাই না'

নিজস্ব প্রতিবেদন: আর কয়েক মাস বাকি। আগামী বছরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেদিকে লক্ষ্যে রেখে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি, দিল্লিতেও দরবার করছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। এনিয়ে ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-ব্যবস্থা করলেন চার্টার বিমানের, কিরঘিজস্তান থেকে ৪ হাজার পড়ুয়াকে ফেরাচ্ছেন সোনু সুদ 

কালীঘাটে একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে বলে গায়ের জোর দেখাচ্ছে। কখনও বলছে এনকাউন্টার করো, কখনও বলছে হিংসা করো। এরা সারাক্ষণ গুন্ডামি, দাঙ্গা, আগুন জ্বালানোর কথা বলে। মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয় না। আইন শৃঙ্খলা খারাপ! ইউপিতে গিয়ে দেখুন না!

মমতা বলেন, আন্দোলনের নামে ওরা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার  কথা বলছেন, কখনও পুলিসকে আক্রমণ করছেন, কখনও ভিসিদের আক্রম্ণ করেন! কোথা থেকে এসেছেন আপনারা! আমরা ভুলে যায়নি এনপিআরের লড়াই। কীভাবে সেদিন দিল্লিতে মানুষগুলোকে খুন করেছিলেন আর নর্দমায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। আজও মানুষ জানে না কতো মানুষ খুন হয়েছেন। ভাববেন না কোভিড চলছে বলে এনআরসি-এনপিআর ভুলে যাব।

আরও পড়ুন-একুশে একুশ: মমতার দশ চোখা চোখা ভার্চুয়াল ডায়লগ

অন্য রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, এরা কখনও রাজবংশীদের সঙ্গে কামতাপুরীদের লাগিয়ে দিচ্ছে, কখনও হিন্দুদের সঙ্গে মুসিলমদের লড়াই লাগিয়ে দিচ্ছে। দেশে এখন চাষীদের স্বাধীনাতা নেই, পুলিসের স্বাধীনতা নেই, সরকারি এজেন্সির স্বাধীনতা নেই। ছাত্ররা আন্দোলন করলে তাদের ওপরে অত্যাচার হচ্ছে। এনকাউন্টার করবেন! যান গিয়ে ইউপিতে এনকাউন্টার সামলান। গায়ের জোর চলছে। আমি বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে জানি। জেল-বন্দুক-গুলি এসব ভয় পাই না। মনে রাখবেন মৃত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর।  আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। কী চলছে ইউপিতে। পুলিস খুন হয়ে যাচ্ছে। আবার যে আসামী খুন হল সেও খুন হয়ে যাচ্ছে। যাতে সাক্ষী না থাকে। এই বিজেপিকে আগামী নির্বাচনে জামানত জব্দ করে রাজ্য থেকে উত্খাত করুন।

.