নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথমে মেশিনে ত্রুটির কারণেই বিস্ফোরণের কথা বলেও, পরে আবার সেই তত্ত্ব থেকে সরে এল তদন্তকারী ফরেনসিক টিম। সংগৃহীত নমুনা ল্যাবে পরীক্ষার পরই আরও তথ্য স্পষ্ট হবে। জানাল ফরেনসিক টিম। এরফলে মালদার কালিয়াচক থানার সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ধোঁয়াশা রয়ে গেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, গতকাল রাতে ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। আজও দ্বিতীয় দফায় নমুনা সংগ্রহ করতে ফের ঘটনাস্থলে আসে চিত্রাক্ষ সরকারের নেতৃত্বে ২ জনের ফরেনসিক প্রতিনিধি দল। প্রায় ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। বিস্ফোরণে ভেঙে যাওয়া মেশিনের অংশ পরীক্ষা করতে গিয়ে এদিন ফের বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। যার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। 


এরপরই আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ফরেনসিক আধিকারিক চিত্রাক্ষ সরকার জানান, "এখনই স্পষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। মেশিনের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে, এমন তথ্য এখনই বলা সম্ভব নয়। নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করার পরই বিস্ফোরণের কারণ জানা যাবে। ভগ্ন মোটরের অংশ ল্যাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।" একইসঙ্গে চিত্রাক্ষ সরকার আরও জানান,"এই এলাকায় অন্য কারখানাতেও মেশিন পরীক্ষা করা হয়েছে।" স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় প্রায় ২০টি প্লাস্টিক কারখানা রয়েছে।


এই প্রসঙ্গে মোথাবাড়ি বিধানসভার বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, "এই কারখানাগুলি কীভাবে চলে সে তথ্য জানা দরকার। কারখানাগুলি আইন মেনে চলছে কিনা তারও খোঁজ প্রয়োজন।" উল্লেখ্য, কারখানাগুলি আইন মেনে চলছিল না বলেই অভিযোগ তাঁর। প্রসঙ্গত, পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার কারখানাগুলিতে ব্যবহৃত মেশিন সব হ্যান্ড মেড।


অন্যদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় আজই উত্তর মালদার বিজেপির সাংসদ তথা নেতা খগেন মুর্মু অভিযোগ করেন, "৭২ ঘণ্টার পরও পুলিস কোনও মামলা করেনি। পুলিসের আচরণ সন্দেহজনক। ঘটনার পিছনে তথ্য গোপন করছে পুলিস।" যদিও খগেন মুর্মুর অভিযোগ খারিজ করে বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন সাফ জানান, "পুলিস আইন অনুসারে কাজ করছে। বিজেপির অভিযোগ কী করে করছে, তা জানি না! পুলিস ও রাজ্য সরকার সব রকমের তদন্ত করছে। আমরাও জানতে চাই কী করে বিস্ফোরণ হয়েছে।"


আরও পড়ুন, শুভেন্দু-সৌগত সহ দলে আসছেন ৫ TMC সাংসদ : অর্জুন, মরে যাব তবু BJP-তে না : সৌগত