নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি স্কুলে বিনা পয়সায় দেওয়ার কথা সরকারি বই। কিন্তু সেই বই-ই বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে। এই ঘটনার ভুক্তভোগী শিলিগুড়ির বাঘাযতীন বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারা। স্কুলে বিনামূল্যে দেওয়ার বই বাজারে চড়া দামে বিকোচ্ছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্কুল থেকে বিনে পয়সায় দেওয়ার কথা সরকারি পাঠ্যপুস্তক। কিন্তু সরকারি ব্যাপার-স্যাপার তো! ছাত্রদের বই পেতে পেতে শিক্ষাবর্ষের বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে যায়। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে খোলা বাজারে সরকারি বই বিক্রির রমরমা কারবার ফেঁদে বসে অসাধু ব্যবসায়ীরা। চোরাপথে খোলা বাজারে বিক্রি হতে থাকে সরকারি বই।


আরও পড়ুন, কসবার হোটেলে ঘাঁটি গেড়েই শহরজুড়ে এটিএম জালিয়াতির ব্লুপ্রিন্ট আঁকে হ্যাকাররা


শিলিগুড়ির সরকারি স্কুল বাঘাযতীন বিদ্যাপীঠ। সেই স্কুলেরই এক ছাত্রের বইয়ের মধ্যে বই কেনার রশিদ দেখতে পান ক্লাস টিচার। ওই ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করতে সে জানায়, বাজারের একটি দোকান থেকে বই কিনেছে সে। এরপরই সেই দোকানে গিয়ে জানা যায়, কলকাতা থেকে সরকারি বই আসে খোলাবাজারে। তারপরই তা চড়া দামে বিক্রি করা হয়।


আরও পড়ুন, কোটি কোটি টাকা তছরুপ! রোজভ্যালির বিরুদ্ধে আরও ১টি মামলা দায়ের ইডির


কিন্তু সরকারি বই এভাবে খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া অপরাধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও পড়ুয়ারা-ই বা কেন খোলা বাজার থেকে চড়া দামে 'বিনামূল্যে'র বই কিনছেন? স্কুলশিক্ষদের বক্তব্য, সরকারি বই স্কুলে বিতরণ হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। কিন্তু ক্লাস তার আগেই শুরু হয়ে যায়। ফলে পড়ুয়াদেরও স্কুল থেকে বই পাওয়ার আগেই পড়া শুরু করে দিতে হয়।


আরও পড়ুন, সন্তান চাইতেন না স্বামী! নারকেলডাঙায় গৃহবধূ খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য


সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে খোলা বাজারের দোকানদাররা। যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় ডিআই-এর সাফাই, সরকারি বই বাজারে বিক্রি হওয়ার বিষয়টি তাঁর দেখার বা জানার কথা নয়।