নিজস্ব প্রতিবেদন : হাতে আর এক মাসও বাকি নেই। ১৩ মার্চ ছিল বিয়ে। বিয়ের কনের সব কেনাকাটাও হয়ে গিয়েছিল। নিমন্ত্রণপর্বও প্রায় সারা হয়ে গিয়েছে। এমন সময় পরিবারের সকলকে হতবাক করে দিয়ে আত্মঘাতী হল যুবতী। মৃতার নাম লক্ষ্মীরানি হালদার। বয়স ২০ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোনারপুরের তারাবাগান এলাকার বাসিন্দা ছিল ওই যুবতী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু গুপ্তা নামে প্রতিবেশী এক যুবক উত্যক্ত করত লক্ষ্মীরানিকে। সম্প্রতি লক্ষ্মীর বিয়ে ঠিক হয় লক্ষ্মীকান্তপুর এলাকার এক যুবকের সাথে। মার্চের ১৩ তারিখে বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল। বিয়ের দিন স্থির হওয়ার পরই শুরু হয়ে গিয়েছিল তোড়জোড়। কেনাকাটা, নিমন্ত্রণ করা। সবই চলছিল জোরকদমে। হাতে আর বেশিদিন নেই। তাই মোটামুটি সব কাজ-ই সেরে ফেলেছিলেন লক্ষ্মীরানির বাড়ির লোকেরা। এরপরই এদিন ঘটল অঘটন।  


আরও পড়ুন, জোগান কম, পাইকারি বাজারে চড়চড়িয়ে বাড়ছে ডিমের দাম


প্রতিদিনের মত এদিনও সকালে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মা হারানি হালদার। বেলার দিকে তিনি তাঁর ননদকে ফোন করেন। মেয়ে লক্ষ্মীরানি ঘুম থেকে উঠেছে কি না দেখতে বলেন। পিসিমা সুমিত্রা দেবী ভাইঝিকে ডাকতে গিয়ে দেখেন, ঘরের ভিতরই আত্মঘাতী হয়েছে লক্ষ্মী। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।


আরও পড়ুন, 'পাকিস্তান মুর্দাবাদ' স্লোগানে মুখর, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রেল অবরোধ অশোকনগরে


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সোনারপুর থানার পুলিস। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক রাজু গুপ্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত যুবক। পলাতক বাড়ির অন্যরাও। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।