সুতপা সেন: রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। এবার এনিয়ে ঝাড়গ্রামের সভা থেকে নজিরবিহীন ভাবে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাণনীয় গভর্নর সাহেব, কালো চশমা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উনি একটার জায়গায় দশটা সানগ্লাস পরতে পারেন। কিন্তু যা খুশি তাই করতে পারেন না। সংবিধানের বাইরে বেরিয়ে উনি কিছু করতে পারেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'মণিপুরে ভারতকে হত্যা করেছেন মোদী', সংসদে রাহুল


পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে রাজভবনে হিংসার অভিযোগ শুনতে পিস রুম খুলেছিলেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি শিয়ালদেহ রেলের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে পিস ট্রেন চালানোর পক্ষে সওয়াল করেন। বুধবার ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, উনি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী যা বলবেন সেটাই তিনি করবেন। আগে দল তৈরি করে নির্বাচনে জিতে আসুন। একশো বছরেও পারবেন না। যা খুশি তাই করা যায় না। রাজ্যপাল জ্ঞান দিয়ে বেড়াচ্ছেন। নিজের মতো করে কেরালা থেকে লোক নিয়ে এসে ডুবিয়ে দিচ্ছেন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে ভিসি করেছেন। তিনি কেরালায় আইপিএস ছিলেন। এডুকেশনের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। এখানে ঝাড়গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। না আছে ভিসি, না আছে রেজিস্ট্রার। ছাত্রছাত্রী বলছে দুর্নীতি কাকে বলে! দাঙ্গা কাকে বলে! এটা রাজ্যপালের কাজ? রাজ্যপালের কাজ সংবিধানের লিপিবদ্ধ করা আছে। সেটাই তিনি করবেন।


ঝাড়গ্রামের সভা থেকে এদিন মণিপুরের হিংসা নিয়ে বিজেপিকেও তীব্র নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি চাইছে মণিপুরের মতো তপসিলি উপজাতি ও কুড়মিদের জাতিদাঙ্গা লাগাতে। আপনারা কখনও একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। আপনি আপনার মতো থাকুন। আদিবাসীরা আদিবাসীদের মতো থাকবে। সবাই যেন ভালো থাকে সেটা আমাদের লক্ষ্য। আগুন একবার জ্বলে গেলে তা আর নেভে না। আপনারা তো খুনের রাজনীতি করছেন, রক্তের রাজনীতি করছেন। আমি এসব করতে চাই না। আমি কুড়মি ভাইবোনদের বলব আপনাও আপনাদের ভাষার উন্নতি করুন। আপনাদের আবেদন আমি কেন্দ্র পাঠিয়েছি। এখন তা আমার হাতে নেই। উন্নয়নের জন্য যা বলবেন তা আমি করে দেব। দয়া করে একসঙ্গে থাকবেন।


মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মণিপুর জ্বলছে, কেন্দ্রের কোনও হেলদোল নেই। ওরা ভাবছে দেশটাকে টুকরো টুকরো করে দেব। ওদের শুধু ভোটের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী যতটা বকেন, তার এক অংশ‌ও করে দেখান না। এখন ভোট আসছে। আবার বলবেন। হরিয়ানা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ ফিরে আসছেন। আমাদের বাংলার মানুষ যারা আসছেন তাদের বিষয়টা আমরা দেখে নেব। আগে বছরে তিনশো চারশো লোক খুন হতো এখানে। কত মৃত্যুর মিছিল দেখেছি। এখন আর সে সব হয় না এখানে। আমরা সব বন্ধ করেছি। আমাকে যদি বলে মমতা ব্যানার্জি ইউ ক্যুইট ইন্ডিয়া, তাহলে আমি বলবো আমি যাবো না। আমি এই দেশের মানুষ। ওরা আজকে গান্ধীজীকে ভুলে গেছে, নেতাজিকে ভুলে গেছে। হঠাৎ করে বলছে এখন ইউনিফায়েড সিভিল কোড করো। কেন করবে? গায়ের উপর চাপিয়ে দিলেই হবে না। তাই আজ বলে যাচ্ছি ইউনিফায়েড সিভিল কোড মানি না, মানছি না। মনিপুরের লোকেরা তো দেশের লোক। কেন তাদের উপর এমন অত্যাচার করছো ? যদি রিলিফ দিতে হয় (মনিপুরে), তাহলে আমাদের অ্যালাউ করো, তোমরা যদি না করতে পারো আমরা জল, খাদ্য, ওষুধ সব পাঠিয়ে দেব। মেজরিটির দ্বায়িত্ব মাইনরিটি কে রক্ষা করা, মাইনরিটির উপর অত্যাচার করা নয়। বিজেপির কথায় প্ররোচিত হবেন না।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)