Gupo Sandesh: জানেন কি, বাংলার প্রথম ব্র্যান্ডেড মিষ্টি কোনটি, কোথায় পাওয়া যায় অসাধারণ এই সুখাদ্যটি?
Guptipara’s Gupo Sandesh: বিখ্যাত এই গুপো সন্দেশের জন্ম ঠিক কোন সময়ে তা সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে যেদিনই হোক, তা যে বাংলার খাদ্য সংস্কৃতিতে এক ঐতিহাসিক ঘটনা, এ নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতা থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার! একদিনের ডে-আউটে অনায়াসে ঘুরে আসা চলে। ভোলা ময়রার জন্মস্থান গুপ্তিপাড়া। হুগলির প্রচীন জনপদ। রাস, দোল, রথযাত্রার জন্য প্রখ্যাত। বাংলার মন্দিরশৈলী দেখারও অন্যতম আদর্শ জায়গা। কিন্তু একটি বিশেষ মিষ্টির জন্যও জায়গাটি খাদ্যরসিকদের কাছে বেশ বিখ্যাত। মিষ্টিটির নাম হয়তো সকলেই শুনেছেন-- গুপো সন্দেশ বা গুফো সন্দেশ বা গুঁফো সন্দেশ।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে বালি চুরি চলছেই...
গুপ্তিপাড়ার বাসিন্দাদের দাবি, সন্দেশের আবিষ্কার হয়েছিল এখানেই। বিখ্যাত এই গুপো সন্দেশের জন্ম ঠিক কত সালে হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে যেদিনই হোক, তা যে বাংলার খাদ্য সংস্কৃতিতে একটা ঐতিহাসিক ঘটনা, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
এই বিশেষ সন্দেশটি বানানোর পদ্ধতিও খুব অভিনব। প্রথমে বিশাল আকারের লোহার কড়াইয়ে ছানা পাক দেওয়া হয়। তারপর সেই পাক দেওয়া ছানা পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে কাঠ দিয়ে পেটানো হয় যাতে ওই ছানার ভিতরের অতিরিক্ত জলটুকুও বেরিয়ে যায়। এরপর তার সঙ্গে চিনি, শীতকাল হলে গুড় মিশিয়ে ফের পাক করা হয়। পাক ঠিকমতো হয়ে এলে তা হাতে নিয়ে থেবড়ে দেওয়া হয়। এবং এরকম দুটি থেবড়ানো অংশ পরস্পর জুড়ে তৈরি হয় এই মিষ্টি। যে কারণে গুপো সন্দেশকে জোড়া মণ্ডাও বলা হয়।
আরও পড়ুন: Jhargram: চারপাশে আবর্জনা, হাঁস-মুরগি, পোকামাকড়! এমন জায়গায় আইসিডিএসে'র রান্না?
প্রসঙ্গত, এই বছরেই এই মিষ্টির মুকুটে জুড়েছে নতুন পালক। সে পেয়েছে জিআই ট্যাগ। তবে, জিআই ট্যাগ মিলেছে বলেই যে, সে জাতে উঠেছে তা নয়। বহুদিন ধরেই এই মিষ্টি বাংলার নানা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আগে কলকাতাতেও আসত এই মিষ্টি। তবে এখন সেদিন গিয়েছে।