নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার চিকিৎসায় গাফিলতির মারাত্মক অভিযোগ উঠল বেলঘড়িয়ার মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। এক রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেল, মেডিক্য়াল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও ওই নার্সিংহোমে বহাল তবিয়তে চিকিৎসা করছিলেন এক চিকিৎসক। এমনকী, কর্তব্যরত নার্সও ডিসট্য়ান্সে নার্সিং পাশ করেছেন। এই তথ্য প্রকাশ্য়ে আসতেই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। আপাতত রোগী ভর্তি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে,গত এপ্রিল মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে বেলঘড়িয়ার মিডল্যান্ড নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন কাকলী দাস নামে এক মহিলা। রোগীর মৃত্যু হলে তাঁর ভাই জয়দীপ দাস স্বাস্থ্য কমিশনে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে ভয়ঙ্কর রহস্য ফাঁস করল স্বাস্থ্য কমিশন। তদন্তে দেখা যায়, মিহির বিশ্বাস নামে যে চিকিৎসক ওই কাকলী দাসের চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁর মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রাশনে গণ্ডগোল রয়েছে। আরও স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে, ওই চিকিৎসক রাশিয়া থেকে ডাক্তারি পাশ করেছেন। কিন্তু, ভারতে রোগী দেখার জন্য যে পরীক্ষায় বসে লাইসেন্স নিতে হয়, এপ্রিল মাস সেই লাইসেন্স তাঁর ছিল না। 


আরও পড়ুন: পরীক্ষার্থী ৭২, অর্ধেকই ফেল, বাঁকুড়ায় স্কুল গেটে তালা গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ ছাত্রীদের


আরও পড়ুন: 'BJP বিরোধী সবার সঙ্গে কাজে রাজি', বিমানের মন্তব্যে CPI(M)-TMC 'জোট' জল্পনা তুঙ্গে


West Bengal Clinical Establishment Regulatory Commission-এর চেয়ারম্যান তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আইসিইউতে যে নার্স কর্তব্যরত ছিলেন, জানা যায় তিনিও বেঙ্গালুরুর একটি কলেজ থেকে ডিসট্যান্সে নার্সিং পড়েছেন। অর্থাৎ, তিনিও নার্সিং পাশ নন। এমনকী, মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাব্লিশমেন্ট লাইসেন্সেরও নাকি মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। সোমবার এই মামলার শুনানি হয় এবং সব তথ্য খতিয়ে দেখে ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করল কমিশন। আপাতত রোগী ভর্তি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে মিডল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি, মৃত ওই রোগীনির ১০ বছরের ছেলের নামে ২ লক্ষ টাকা ফিক্সড করে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে,শীঘ্রই মিডল্যান্ড নার্সিংহোম পরিদর্শনে যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তাঁরা ছাড়পত্র দিলে তবে ভর্তি শুরু হবে।