নিজস্ব প্রতিবেদন: নোভেল করোনাতে মৃত্যু কিনা সুনিশ্চিত করতে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের  ৩৪ টি বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেfশিকা জারি করল স্বাস্থ্য ভবন।  নোভেল  করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পজেটিভ হলেও সেই মৃত্যু ওই সংক্রমণে হয়েছে কিনা তা সুনিশ্চিত করতে ওই ৩৪ দফা তথ্য পূরণ করতে হবে। তবেই বলা হবে যে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে  মৃত্যু কিনা! মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় ৩৪ দফা ফিলাপ করে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বা সরকারি হাসপাতালকে। এমনই নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নোবেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা নিয়ে রাজ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। কয়েকদিন আগে রাজ্য সরকার পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হলে আদৌ সেই সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য। নতুন নির্দেশিকায় এবার সেই কমিটি কীভাবে কাজ করবেন, কোন কোন বিষয় খতিয়ে দেখবেন সেটাও নির্দিষ্ট করে দিলো স্বাস্থ্য ভবন।


আরও পড়ুন- লকডাউনে পোস্ট অফিস যেতে অক্ষম জানিয়ে বৃদ্ধের চিঠি, বাড়িতেই পেনশনের টাকা পৌঁছে দিলেন ‘রানাররা’


প্রথম পর্যায়ে যে যে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি :


হাইপারটেনশন, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, হার্টের কোন প্রবলেম আছে কিনা, ডায়াবেটিস আছে কিনা, ইমিউনিটি অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন সেখানে কোনো ঘাটতি ছিল কিনা, সিওপিডি অর্থাৎ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ ছিল কিনা এগুলি প্রথম পর্যায়ে দেখতে বলা হচ্ছে। 


দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই কমিটি মৃত ব্যক্তির এই বিষয়গুলি অনুসন্ধান করবেন :


ফিভার কত দিন ছিল, কোন পর্যায়ে কত মাত্রায়?


সোর থ্রোট,  শরটনেস অফ ব্রিদ, কফ বের হচ্ছিল কি না! কতদিন ধরে এবং কী পরিমাণ, কেমন মাত্রা ?


তৃতীয় পর্যায়ে ২৪ টি নির্দিষ্ট বিষয়কে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান করবেন এই কমিটির সদস্যরা।


রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা। পাশাপাশি লোয়ার অ্যাবডোমেন আলট্রাসনোগ্রাফি, সিটিস্ক্যান' চেষ্ট এক্সরে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি  এরকম নানা বিষয় রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে ম্যালেরিয়া,  ডেঙ্গি,  স্কাবটাইফা সহ  নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে। এক স্বাস্থ্য কর্তার  মতে,  "সরকার এ  বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান করেই সিদ্ধান্ত নেবেন যে  নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে।  যাতে কোনো মৃত্যু নিয়ে কোনো সংশয় না থাকে সে কারণে এত নিখুঁত পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। সে জন্যই এই নির্দেশিকা।"