Purulia: ভেসে গেল সাঁকো, প্রাণ হাতে করে উত্তাল নদীস্রোতে পাড়ি গ্রামবাসীদের...
Purulia Heavy Rain: ভারী বৃষ্টির জেরে ভেঙে গিয়েছে কংসাবতী নদীর উপর সদ্য তৈরি হওয়া অস্থায়ী বাঁশের সেতু। যোগাযোগবিচ্ছিন্ন দুই প্রান্তের বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের ভেলায় চড়ে নদী পারাপার করছেন গ্রামবাসীরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারী বৃষ্টির জেরে ভেঙে গিয়েছে কংসাবতী নদীর উপর সদ্য তৈরি হওয়া অস্থায়ী বাঁশের সেতুটি। এর জেরে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন দুটি গ্রাম, দুই প্রান্তের বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের ভেলায় চড়ে নদী পারাপার করছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: সবে মেঘ কেটেছে! জেনে নিন, পুজোর সময়ে কেমন থাকবে আবহাওয়া...
এই ছবি পুরুলিয়ার আড়ষা ব্লকের বামুনডিহা এবং পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের কাঁটাবেড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা কংসাবতী নদীর। এই নদীর উপর কোনও সেতু না থাকায় এবং সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় এভাবেই নদী পারাপার করছেন গ্রামবাসীরা। চরম দুর্ভোগের শিকার ১৫-২০টি গ্রামের মানুষজন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, এখানে একটি স্থায়ী সেতু করা হোক। যদিও সেই দাবি পূরণ হয়নি আজও।
২০১৬ সালে কংসাবতী নদীর উপর ১৪৭ মিটার স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের খাতে ৯ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কাজ শুরুও করেছিল এক নির্মাণকারী সংস্থা। তারপর কোন এক অজানা কারণে হঠাৎই সেতুতৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়! তখন থেকেই, প্রায় ৭ বছর ধরে স্থগিত রয়েছে সেতুর কাজ।
আরও পড়ুন: হ্রদ ফেটে আসছে আরেক ভয়ংকর হড়পা! এবার জলকাদার নীচে ডুবতে পারে গোটা ডুয়ার্সই?
এর ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন বামুনডিহা, জুরাডি, তুম্বাঝালদা, কাঞ্চনপুর, কুদগাড়া, জামবাইদ, বিরচালি, মানপুর, আহাড়রা-সহ ১৫-২০ টি গ্রামের মানুষজন। প্রতি বর্ষায় কংসাবতী নদীর জল বাড়লেই নদীর দুই প্রান্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন বাধ্য হয়েই ভেলায় চড়ে নদী পারাপার করেন তাঁরা। বছরের পর বছর ধরে এমনই চলছে। এখন গ্রামবাসীদের প্রশ্ন-- কবে আসবে সুরাহা?