নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রবল ইচ্ছে থাকলেও হাই কম্যান্ড চায়নি, তাই সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল হেভিওয়েট মুকুল রায়কে নিজেদের ঘরে আনার কোনও চেষ্টাই করেনি সর্বভারতীয় কংগ্রেস। সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও জানিয়েছেন, "হাইকম্যান্ড চায়নি, সেজন্যই মুকুল বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি দল"। তিনি এও জানান, তাঁর সঙ্গে অনেক কথাই হয়েছে মুকুল রায়ের। এমনকি মুকুলের পদত্যাগ নিয়ে অধীর এও বলনে, "মানসম্মান নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস করা যায় না। মুকুল রায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"  রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, প্রদেশ কংগ্রেস চাইলেও, বৃহৎ রাজনৈতিক সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই একদা তৃণমূলের মুকুলে 'হাত' দিতে চায়নি কংগ্রেস। যে দুটি কারণে মূলত মুকুলে অনীহা দেখিয়েছে কংগ্রেস, সেগুলি হল- 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক. নারদকাণ্ড এবং সারদা দুর্নীতির মত আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মুকুল রায়। দোষী প্রমাণিত না হলেও দুই দুর্নীতির বিষয়েই তদন্ত কোন দিকে মোড় ঘোরাবে জানা নেই কারোরই। সেহেতু মুকুল ঘরে নিয়ে বিপাকে পড়তে চায়নি কংগ্রেস। 


দুই. রাজ্যে বিধানসভা ভোটের জন্য বামেদের সঙ্গে জোট হলেও কেরলে কংগ্রেস আজও সিপিএমের 'শ্রেণি শত্রু'। একই সঙ্গে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বামেদের থেকে তুলনায় শক্তিশালী তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট কংগ্রেসকে বেশি ফায়দা দেবেই বলে মত কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের। 


যদিও, রাজ্যসভার সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায় নিজে মুখে স্বীকার করেছেন, তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বার্তা চলছে। এমনকি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জনের সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এখনই কোনও দলে যাচ্ছেন না, সে বিষয়ও স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলের একদা চাণক্য মুকুল রায়। আরও একধাপ এগিয়ে সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তৃণমূলকেই সাজেশন দিয়েছেন কংগ্রেসে মিশে যাওয়ার জন্য।  


আরও পড়ুন- বাবার সাংবাদিক সম্মেলনের আগে শুভ্রাংশু রায়ের বিস্ফোরক দাবি