নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বাস্থ্যস্বাথী (Swasthya Sathi) কার্ড থাকা সত্ত্বেও ফের মরণাপন্ন রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড়ের ধরমপুরে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীর পরিবারকে হেনস্থা করার প্রসঙ্গে এদিনই ফের হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, এদিন ধরমপুরের মধ্যমকুমারী গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা জাইগুননেসা রহিমকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ভর্তির জন্য নিয়ে আসা হয় মেদিনীপুর শহরের এক নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযোগ, রোগীর পরিজনেরা স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ডে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে চাইলে নানা টালবাহানায় তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে তাঁদের বলা হয়, অন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভর্তি করতে হবে রোগীকে। পরে হাসপাতালের তরফে বলা হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তির জন্য পর্যাপ্ত বেড নেই। প্রায় ২ ঘণ্টা হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই পড়ে থাকেন রোগী। শেষে বাধ্য হয়েই মরণাপন্ন রোগীকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় পরিবার। 


রোগীর পরিবারের অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতালের ম্যানেজার শমীক সাঁতরাও। তাঁর দাবি, হাসপাতালে নথিভুক্ত চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ভর্তি নেওয়া হয় না কোনও রোগীকেই। কিন্তু হাসপাতালের যুক্তি যে একেবারেই সঠিক নয় তা স্পষ্ট জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য সুন্দর সারেঙ্গি। উল্লেখ্য, এদিনই হুগলির পুরশুড়ার সভায় স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে হেনস্থা করার প্রসঙ্গে হাসপাতালগুলিকে ফের কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "একটা দুটো জায়গায় যারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেবে না, তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। নম্বর দেওয়া রয়েছে কার্ডের পিছনে। সেখানে জানান।" 


আরও পড়ুন, নদিয়া জেলা TMC সহ সভাপতির পদ থেকে অপসারিত পার্থসারথি চ্যাটার্জি


যারা যেতে চাও, ট্রেন ছাড়ার আগে তাড়াতাড়ি যাও, ইচোর-এঁচোড়রা পালিয়ে যাও : Mamata