১৫ বছরের সংসার! মুহূর্তে `মায়া` ত্যাগ করে গৃহবধূ নিলেন চরম সিদ্ধান্ত
শনাক্তকরণের পর বাপের বাড়ির লোকদের কোনও খবর না দিয়ে, তড়িঘড়ি স্ত্রীর দেহ দাহের বন্দোবস্ত করেন সমীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : নিত্য পারিবারিক অশান্তি। শ্বশুরবাড়ির শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ। চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। স্বামী সহ অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের গ্রেফতার করেছে পুলিস।
বিয়ের পর এক যুগ পেরিয়ে গিয়েছে। ১৫ বছর আগে কালনার সীতাহাট গ্রামের কাকলি দে-র সঙ্গে বিয়ে হয় কালনার লক্ষ্মীগঞ্জ পাড়ার সমীর রুদ্রর। সমীর পেশায় ব্যবসায়ী। চা পাতা বিক্রির ব্যবসা রয়েছে সমীরের। ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্রসন্তানও হয় কাকলি দে-র। কিন্তু সংসারে নিত্য অশান্তি লেগেই ছিল।
আরও পড়ুন, চিত্কার শুনে ঘরে উঁকি মারতেই হতভম্ব এলাকাবাসী, ফাঁস বউমার কুকীর্তি!
কাকলির বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা ছোটোখাট বিষয়ে তাঁদের মেয়েকে হেনস্থা করতেন স্বামী, শাশুরি, ভাসুর ও জা। শ্বশুরবাড়িতে যারপরনাই নির্যাতিতা হতেন কাকলি। শেষে শুক্রবার চরম সিদ্ধান্ত নেন কাকলি। জানা গিয়েছে, চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন কাকলি। অভিযোগ, আরপিএফ দেহ উদ্ধার করার পর স্বামী সমীর রুদ্র দেহ শনাক্ত করেন। আর তারপরই বাপের বাড়ির লোকদের কোনও খবর না দিয়ে, তড়িঘড়ি স্ত্রীর দেহ দাহের বন্দোবস্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন, স্বামী থাকে বিদেশে, পড়শি যুবকের সঙ্গে 'বন্ধুত্ব' গৃহবধূর, পরিণতি ভয়ঙ্কর
সেই সময়ই খবর পেয়ে ছুটে আসে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে কালনা থানার পুলিস। এই ঘটনায় রাতেই কালনা থানায় স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর ও জায়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। এদিন সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কাকলির শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।