নিজস্ব প্রতিবেদন: মাটির নিচে অস্ত্রভাণ্ডার! খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার হল ৬০-৭০টি বন্দুক। সঙ্গে ড্রামভর্তি কার্তুজও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে। তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীভাবে হদিশ মিলল এই আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজের? স্থানীয় সূত্রে খবর, গোয়ালতোড়ের বড়ডাঙা গ্রামে একশোর দিনের কাজ চলছিল। এদিন সকালে গ্রামে মাটি কাটছিলেন শ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, সেই সময়ে একজনের কোদালের সঙ্গে মাটির নিচে থাকা ধাতব বস্তুর সংঘর্ষ ঘটে। প্রথমে একটি প্লাস্টিকে কৌটা পাওয়া যায়। সেই কৌটোর ভিতরে ছিল প্রায় এক হাজার কার্তুজ! এরপর খবর দেওয়া হয় গোয়ালতোড় থানায়।



আরও পড়ুন:  Sunil Mondal: সেতুর নির্মাণকাজ পরির্দশনে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ, তড়িঘড়ি ছাড়লেন এলাকা


খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। ওই এলাকার আরও খোঁড়াখুড়ি করা হয়। কোথাও এক নলা, তো কোথাও আবার দু'নলা। গোয়ালতোড়ের বড়ডাঙ্গা গ্রামে মাটির নিচে থেকে উদ্ধার হয় ৬০-৭০টি বন্দুক। পুলিসের অনুমান, ওই বন্দুক ও কার্তুজগুলি ১০ থেকে ১৫ বছরের পুরনো। এমনকী, দীর্ঘদিন মাটির নীচে থাকার কারণে সেগুলি নষ্টও হয়ে গিয়েছে। 



আরও পড়ুন: Ghutiari Sharif: রাতের অন্ধকারে মাদক পাচারে চেষ্টা! হাতেনাতে পাকড়াও মহিলা-সহ ২


মাটির নিচে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কোথা থেকে এল? স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যে এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে, সেই এলাকায় একসময়ে সিপিএমের 'হার্মাদ বাহিনী'র ক্য়াম্প ছিল। এই অস্ত্রগুলি ওই ক্যাম্পেরই। বাম আমলের আবার গোয়ালতোড়ে মাওবাদীদের দৌরাত্ম্যও ছিল যথেষ্টই। সিপিএমের পাল্টার দাবি, মাটির নিচে থাকা অস্ত্রগুলি মাওবাদীদের। আর বিজেপি? সিপিএম বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়, বরং ঘটনার NIA তদন্তের দাবি তুলেছে তারা। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)