নিজস্ব প্রতিবেদন : স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত। সন্দেহ করত স্বামী। সেই সন্দেহ থেকেই স্ত্রীকে ঘরে বন্দি করে রেখে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুরে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন ওই গৃহবধূ। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, দাদার বন্ধুর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় বোন, কেউ ভাবতে পারেনি পরিণতি এমন নৃশংস হতে পারে!


মালদার হবিবপুরের বুলবুলি চন্ডী এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত পাল। পেশায় মৃৎশিল্পী প্রশান্ত পালের সঙ্গে বছর সাতেক আগে বিয়ে হয় মমতা পালের। দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর সংসার প্রথমদিকে তেমন কোনও অসুবিধা ছিল না। সমস্যার সূত্রপাত হয় কয়েক মাস আগে থেকে।


আরও পড়ুন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, বোনের গর্ভে এল মামাতো দাদার সন্তান, পরের ঘটনা আরও ভয়াবহ


স্ত্রী মমতা পাল পরকীয়ায় জড়িত। পরপুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে মমতা পাল। সন্দেহ করতে শুরু করেন স্বামী প্রশান্ত পাল। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা বাঁধে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এরপরই বাপের বাড়ি চলে যান মমতা পাল। বুধবার জিনিস নেওয়ার জন্য বাড়ি এসেছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন, দেওরের সঙ্গে পরকীয়া বৌদির! শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখে ফেলে স্ত্রী, তারপর...


অভিযোগ, তখনই স্ত্রী মমতা পালকে একটি ঘরে বন্দি করে রেখে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেন স্বামী প্রশান্ত পাল। ঘরের মধ্যে আটকে স্ত্রীকে শাবল দিয়ে আঘাত করেন প্রশান্ত পাল। হাত ও পায়ে গুরুতর চোট পান মমতা পাল। এদিকে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় সন্দেহ হয় মমতা পালের বাপের বাড়ির লোকেদের।


আরও পড়ুন, 'শুভেন্দু অধিকারীর মাথা চাই', রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মাওবাদী পোস্টার


পুলিসের দ্বারস্থ হয় মমতা পালের আত্মীয়রা। পুলিস গিয়ে বন্ধ ঘর থেকে আহত অবস্থায় মমতা পালকে উদ্ধার করে। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই গৃহবধূকে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযুক্ত স্বামী প্রশান্ত পাল পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।