Bagnan: ইউটিউবার খুন পরিকল্পনা মাফিক? পুলিসের হাতে গ্রেফতার স্বামী
রিয়া কুমারির সঙ্গে তাঁর স্বামীর নিয়মিত অশান্তি হতো। স্ত্রীর বাড়ির লোক জানিয়েছেন প্রকাশের প্রথম পক্ষের এক স্ত্রী রয়েছে। তাঁর সঙ্গে এখনও বিচ্ছেদ হয়নি প্রকাশের। পাশাপাশি প্রকাশ কুমারের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। নিয়মিত রিয়া কুমারির উপর অত্যাচার করার অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবারের লোকজন।
পিয়ালি মিত্র: ঝাড়খন্ডের ইউটিউবারকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার স্বামী প্রকাশ কুমার। বুধবার থেকেই দফায় দফায় জেরা করা হয় ওই ইউটিউবারের স্বামী প্রকাশ কুমারকে। তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। জানা গিয়েছে নিজের দশ এখনও কবুল করেননি অভিযুক্ত স্বামী।
রিয়া কুমারির সঙ্গে তাঁর স্বামীর নিয়মিত অশান্তি হতো। স্ত্রীর বাড়ির লোক জানিয়েছেন প্রকাশের প্রথম পক্ষের এক স্ত্রী রয়েছে। তাঁর সঙ্গে এখনও বিচ্ছেদ হয়নি প্রকাশের। পাশাপাশি প্রকাশ কুমারের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। নিয়মিত রিয়া কুমারির উপর অত্যাচার করার অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবারের লোকজন।
পাশাপাশি এই ঘটনায় প্রকাশ কুমার যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি জানান ড্যান্সের জন্য কলকাতায় কোনও পোশাক কেনার জন্য আসছিলেন তাঁরা। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো জন্য ঘটনাস্থল বাগনান মহিষরেখা ব্রিজের কাছে দাঁড়ান এবং প্রকাশ কুমার নিজে বাথরুম করার জন্য সাইডে যান সেই সময় পিছনে একটি সাদা গাড়ি এসে দাঁড়ায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর মাথায় ধাক্কা দেওয়া হয় এবং হঠাৎই গাড়ির ভিতর থেকে স্ত্রীর আওয়াজ শুনতে পান। এরপরেই গুলির শব্দ পান তিনি। তাঁর অভিযোগ ওই সাদা গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
প্রকাশ দাবি করেন দুষ্কৃতিরা তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেছে। এরপরে ছিন্তাইয়ে বাধা দিলে স্ত্রীকে গুলি করা হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে রিয়া কুমারির শরীরে কোনও মারামারির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ছাড়াও ছিন্তাইয়ের উদ্দেশ্য থাকলেও তাঁর শরীর থেকে কোনও গয়না খোয়া যায়নি বলেও জানা গিয়েছে পুলিসের তরফে।
সমস্ত ঘটনাটি ঘটে সকাল ছটার নাগাদ। পুলিসের সন্দেহ এখানেই। যদি সকাল ছয় টার সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, তাহলে আশেপাশে কলকারখানার মানুষজন অথবা পথ চলতি মানুষ ঘটনাটি দেখতে পেলেন না কেন।
আরও পড়ুন: Ketugram: আছে পাকা বাড়ি-ওষুধের দোকান, আবাস যোজনার তালিকায় নাম আশাকর্মীর স্বামীর
পাশাপাশি ঘটনাস্থলেও কোন রক্তের দাগ দেখা যায়নি। সমস্ত ঘটনা নিয়েই পুলিশ ধন্ধে। তার জিজ্ঞাসাবাদে কথার অসঙ্গতি থাকার জন্য বিশেষ সন্দেহ হয়। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে। ফরেনসিক টিম নিয়ে আসা হয় এলাকায়। রাতেই এই টিম তাদের বিভিন্ন রকমের নমুনা সংগ্রহ করে চলে যান।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজাপুর থানা এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদের পরে রাতেই বাগনান থানায় পাঠানো হয় প্রকাশ কুমারকে। সেখানেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে। বাগনান থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটলেও রাজাপুর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় প্রকাশ কুমারকে। সেখান থেকে রাজাপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরিকল্পনা মাফিক এই খুন করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে পুলিসের তরফে। নিজেই গাড়ি চালিয়ে কলকাতায় আসা এবং হাইওয়েতে এই ঘটনা ঘটায় এর পিছনে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিস। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেহ করা হবে। এরপরেই নিজেদের কাস্টডিতে নিয়ে ঘটনার সত্যতা জানার চেষ্টা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।