নিজস্ব প্রতিবেদন : স্ত্রীর পচাগলা দেহের পাশেই এক বিছানায় ৩ দিন ধরে ঘুমোলেন স্বামী! এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার চাকদার মদনপুরের পূর্ব পাড়ায়। মৃতার নাম ভারতী চন্দ (৫০)। আজই উদ্ধার হয় ওই গৃহবধূর পচাগলা দেহ। স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন,গত ৯ মাস আগে ওই এলাকায় দীপিকা গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক ভদ্রমহিলার বাড়িতে ভাড়া আসেন ভারতী চন্দ এবং তাঁর স্বামী বাচ্চু চন্দ। গত সোমবার রাতে ওই গৃহবধূকে শেষবারের জন্য দেখা গিয়েছিল বাড়ির বাইরে। এরপর তিনদিন ধরে তাঁকে আর বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। ভারতী চন্দকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা তাঁর স্বামীকে ওনার কথা জিজ্ঞাসা করেন। তখন স্বামী বাচ্চু চন্দ জানান, ঘরে শুয়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী!


প্রতিবেশীরা এরপরই ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানায় চাদর দিয়ে মুখ ঢাকা অবস্থায় শোয়ানো রয়েছে ভারতী চন্দের দেহ। দেহে পচন ধরে গিয়েছে। দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। চাকদা থানায় খবর দিলে পুলিস এসে রাতেই দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত তিন দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ভারতীদেবীর। জানা গিয়েছে, তিনি লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। স্বামী বাচ্চু চন্দ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। যার ফলে তিন দিন ধরে পচাগলা দেহের পাশে একই বিছানায় শুয়ে ঘুমোলেও তিনি স্ত্রীর মৃত্যু টের পাননি বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন, বাড়িতে কবর দেখেই সন্দেহ! মাটি খুঁড়তেই বেরল মা-ছেলের দেহ, খুন করে পলাতক বাবা


আরও পড়ুন, অভিনন্দন যাত্রায় ছাত্রীকে হেনস্থা, দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর


প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে গৃহবধূ ভারতী চন্দর। যদিও বাদবাকি সব সম্ভাবনা-ই খতিয়ে দেখছে পুলিস। শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই মৃ্ত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস।