নিজস্ব প্রতিবেদন: 'জয় শ্রী রাম' নিয়ে মেজাজ হারিয়ে নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছেন মমতা। এমনটাই মনে করেন পরিচালক তথা অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলে সাক্ষাত্কারে অর্পণা দাবি করেছেন, 'গণতন্ত্রে জয় শ্রী রাম বা আল্লাহ-হু-আকবর বা জয় মা কালী ধ্বনি দেওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। কিন্তু মমতার প্রতিক্রিয়া নিয়েই আসল সমস্যা তৈরি হচ্ছে'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চন্দ্রকোনায় মমতার কনভয়ের সামনে উঠেছিল 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি। সেই থেকে সূত্রপাত। দিন কয়েক আগে ভাটপাড়ায় মমতার কনভয়ের সামনে ফের ওঠে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি। গাড়ি থেকে নেমে মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলতে থাকেন, 'সব বন্ধ করে দেব। এত বড় সাহস। আমাদের খাবে, আমাদের পড়বে। গুন্ডামি মস্তানি হবে না। বেঁচে আছো আমাদের জন্য। চামড়া গুটিয়ে ছেড়ে দেবে। নাম নিয়েও নাও নাকা চেকিং হবে। তুমি তোমার মতো স্লোগান দাও। এত বড় সাহস। বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না। বাংলা বাংলা থাকবে। বন্ধ করে দিলে বুঝে যাবে সব''। 



নন্দীগ্রামকাণ্ডের পর মমতার সঙ্গে হেঁটেছিলেন যে বিদ্বজ্জনেরা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অপর্ণা। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আচরণ ভালো চোখে দেখছেন না তিনি। অপর্ণা সেনের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর যেভাবে গাড়ি থেকে নেমে স্লোগান থামানোর চেষ্টা করেছেন, তা মেনে নিতে পারছি না। এটা ওনাকে মানায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেগপ্রবণ। উনি ভাবনাচিন্তা করে কাজ করেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে মমতাকে তাঁর আবেগের উপরে লাগাম টানতে হবে বলেও মনে করেন অপর্ণা। তাঁর কথায়,''বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকলে হলে নিজের ব্যবহার ও মুখের উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখায় অভ্যাস করতে হবে মমতাকে। ভাবনাচিন্তা করে তাঁর প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত। অমিত মিত্র, সৌগত রায়ের মতো ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরামর্শও দিনে পারেন। মাথায় যা-ই আসতে বলে দিলাম, এটা করা উচিত নয়''। অপর্ণা সেন মনে করেন, ভোটারদের তাঁর বিরুদ্ধে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা। নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছেন। 


তবে ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি মেশানোর বিরুদ্ধে অপর্ণা। পরিচালকের কথায়,''এটা অপছন্দ করি। রাজনীতি ও ধর্মকে একেবারে আলাদা রাখতে হবে। সমস্ত সমস্যার সূত্রপাত রাজনীতি ও ধর্মের মিশ্রণ''।         


২০২১ সালে কি বিজেপি ক্ষমতায় আসবে? অপর্ণা সেন বলেন,''বিধানসভা নির্বাচনে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে চলেছেন মমতা। শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখন বিজেপিকে সমর্থন করছে। এটাও দুশ্চিন্তার। আমি নিশ্চিত, দেশকে সঠিক দিশায় নিয়ে যেতে চেষ্টার খামতি রাখবেন না মোদী। কিন্তু হিন্দুত্ব ও জাতীয়তাবাদকে মিলিয়ে ফেলাই ওদের আদর্শ। সাভারকরের জাতীয়তাবাদের সমর্থক ওরা। এটাই আমাকে পীড়া দেয়। গান্ধীর বহুত্ববাদের সঙ্গে যেতে চাইব''।


আরও পড়ুন- জয় মা কালী, জয় বাংলা আমরাও বলব, তৃণমূলের 'বাঙালি' অস্ত্রের পাল্টা দিলী