বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় জামতারার মিহিজামে বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ!  মাটির নীচে গোপন কুঠুরি থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র সহ অস্ত্র তৈরি করার সরঞ্জামও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় কলকাতা এসটিএফ। পরে মিহিজাম থানার পুলিসও অভিযান চালায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আসানসোল লাগোয়া বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় জামতারা জেলার মিহিজাম এলাকায় অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। উদ্ধার হয়েছে ৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। শুক্রবার রাত্রে ঝাড়খণ্ডের জামতারা জেলা পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে মিহিজাম এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তখনই অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে। সেই কারখানাতেই  মাটির নীচে গোপন কুঠুরি থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র। বেশ কয়েকটি অসম্পূর্ণ পিস্তলও উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, যেমন লেদ মেশিন, ওয়েল্ডিং মেশিন সহ অন্যান্য সামগ্রীও উদ্ধার হয়েছে। মূল অভিযুক্ত জিয়াজ আনসারি ওরফে রাজু, শাহাজাহান খান পালিয়ে গিয়েছে। 


জানা গিয়েছে, এই কারখানায় তৈরি অস্ত্র চিত্তরঞ্জন ও ধানবাদ রেলস্টেশন হয়ে পৌঁছে যেত নির্দিষ্ট গন্তব্যে। কলকাতা এসটিএফের পর শনিবার সকালে মিহিজাম থানার পুলিস আবার মিহিজামের শহরঢাল এলাকায় অভিযান চালায়। এই শহরঢাল এলাকাতেই রয়েছে মূল অভিযুক্ত জিয়াজ আনসারি ও শাহাজাহানের বেশ কিছু ডেরা। সেখানে অভিযান চালিয়েও মিহিজাম থানার পুলিস অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও তিনটি অসম্পূর্ণ অস্ত্রের হদিস পায়। দিন দুয়েক আগে কলকাতায় অস্ত্র সহ চারজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ঝাড়খণ্ড থেকে এই অস্ত্র এই রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল।


আরও পড়ুন, Malda Rape: কালিয়াচকেও নাবালিকা 'ধর্ষণ-খুন'! নগ্ন দেহ মিলতেই 'মারাত্মক' মালদায় প্রশ্নে নারী নিরাপত্তা


সেই মতো ঝাড়খণ্ড পুলিসের সহযোগিতায় মিহিজামে অভিযান চালায় কলকাতা এসটিএফ। হানা দিতেই অস্ত্র কারখানার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত সহ অন্যরা পালিয়ে যায়। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসের মধ্যে ঝাড়খণ্ড থেকে এই রাজ্যে প্রচুর সংখ্যায় অস্ত্র ঢুকেছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে অস্ত্র পাচারকারীদের। তবুও সক্রিয় অস্ত্র পাচারকারীরা। আসানসোল, কুলটি ও হীরাপুরেও বেশ কয়েকটি অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া যায়। সেই কারখানাগুলির সঙ্গে সরাসরি মুঙ্গেরের যোগ পাওয়া যায়। সামগ্রিকভাবে অস্ত্রপাচার চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত, কোথায় কোথায় এর নেটওয়ার্ক, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)