Malda Rape: কালিয়াচকেও নাবালিকা 'ধর্ষণ-খুন'! নগ্ন দেহ মিলতেই 'মারাত্মক' মালদায় প্রশ্নে নারী নিরাপত্তা
Malda Rape and Murder: বুধবার সন্ধ্যাবেলা মোবাইলে ফোন করে কেউ ওই ছাত্রীকে টিউশন পড়ার নাম করে ডাকে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপর থেকে ওই নাবালিকার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
রণজয় সিংহ: চাঁচলের পর এবার কালিয়াচক। এবার কালিয়াচকে প্রাইভেট টিউশন পড়ার নাম করে ডেকে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে ছাত্রীর নগ্ন দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার জালুয়াবাধাল গ্রামপঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর গ্রামে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের পাঠিয়েছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রী স্থানীয় রমেশ চন্দ্র জালুয়াবাধাল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যাবেলা মোবাইলে ফোন করে কেউ তাকে টিউশন পড়ার নাম করে ডাকে। এরপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই ছাত্রীকে খুঁজে না পেয়ে রাতেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকেরা। এরপরই বৃহস্পতিবার তার নগ্ন দেহ উদ্ধার হয় সৈয়দপুর বিবিগ্রাম এলাকার পুকুর পাড় থেকে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে পুলিস। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিস।
এই ঘটনার পাশাপাশি মালদার চাঁচলেও আজ ৯ বছরের এক নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনাতেও ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। বিক্রম ভগৎ নামে বছর কুড়ির স্থানীয় এক যুবক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে গ্রামবাসীরা আটক করে ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিস। অভিযুক্ত যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা সঙ্কটজনক।
আরও পড়ুন, Daspur: নাবালিকাকে যৌনাঙ্গ দেখিয়ে উত্ত্যক্ত, যুবককে 'চরম' শাস্তি গ্রামবাসীদের!
অন্যদিকে, স্কুল চলাকালীন তিন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে মালদা শহরে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে বেঁধে রেখে স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা শহরের তিন নম্বর গভর্মেন্ট কলোনি এলাকায়। অভিযোগ, বুধবার স্কুলে টিফিন চলাকালীন তিন ছাত্রীকে স্কুলের পিছনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্ত। পড়ুয়াদের থেকে বিষয়টি জানতে পেরে আজ প্রধানশিক্ষককে বিষয়টি জানান অভিভাবকরা। এরপরই আজ ফের অভিযুক্ত যুবককে ওই এলাকায় দেখতে পেয়ে অভিভাবকরা তাকে ধরে স্কুল চত্বরে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে স্কুলে এসে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিস।