নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তার দাদাকে। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তপনের ভাইপো দীপক কান্দুকেও। এছাড়াও রয়েছে তপন কান্দুর কিছু আত্মীয়ও। এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্তু গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পুলিস। কারণ পুরসভা নির্বাচনে এই নরেন কান্দুর ছেলে অর্থাত্ ভাইপোর সঙ্গেই তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। সেই লড়াইয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন তপন। ভাইপো লড়াই করেছিলেন তৃণমূলের টিকিটে।


গতকাল বিকেল তপন কান্দুর খুনের পর পুলিস তদন্তে নেমে একাধিক অ্যাঙ্গেল খুঁজে দেখার চেষ্টা করছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত শত্রুতার বিষয়টি। ঝালদা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্য়ে ৫টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। ৫টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। দুটি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে নির্দল। ফলে পুরসভা এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থা। ফলে এনিয়ে ঝালদায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। তার মধ্যেই এই খুনে ঘটনা।


এদিকে, খুনে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই উঠে এল এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর দাবি, দুদিন আগেই ঝালদার আইসি তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য হুমকি দেন। পূর্ণিমা ঝালদার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, দীপক কান্দু(তপন কান্দুর ভাইপো), নরেন কান্দু, বিশ্বনাথ কান্দু, শ্যাম কান্দু, ভীম কান্দু ও আইসি ওকে ডেকে পরশু থানায় হুমকি দেয়। বলে, তৃণমূলে যোগ দাও নাহলে তুলে নেব। 


কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো বলেন, গোটাটাই ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে শাসক দলের পাশাপাশি পুলিস জড়িত। এখানে পুরভোটে কংগ্রেস-তৃণমূল সমান সমান আসন পেয়েছে। দুটো নির্দলের মধ্যে একজন আমাদের দিকে এসে গিয়েছেন। বাকী এক নির্দলও আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছিল। তার মধ্য়ে বারবার আইসি সিভিক পুলিসের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন। এনিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছি। পরশু এসপিকেও বলেছি।    


কী হয়েছিল গতকাল


পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে ঝালদা-বাগুমুন্ডি রাজ্য সড়কের গোকুলনগরের কাছে তপন কান্দুকে ঘিরে ধরে বাইক আরোহী কয়েকজন দুষ্কৃতী। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তারা তপনবাবুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। মোট ৩টি গুলি লাগে তপনবাবুর শরীরে। এর মধ্যে একটি গুলি লাগে তার মাথায়। অন্য দুটি লাগে তাঁর পিঠে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঝালদা থেকে কাছাকাছি হওয়ায় তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রাঁচির এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রোজকার মতো রবিবারও বিকেলে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তপন কান্দু। হাঁটা সেরে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর বাড়ির খুব কাছেই তাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা।


আরও পড়ুন-ধৃত কাউন্সিলর খুনের মূল অভিযুক্ত, আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার অভিযুক্ত শুটার শম্ভু পণ্ডিত


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)