নিজস্ব প্রতিবেদন: ৪ দিন পর জালে অভিযুক্ত। জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের কিনারা। তবুও, প্রশ্ন পিছু ছাড়ছে না। মাত্র ৫ মিনিটে একা তিন-তিনজনকে খুন করা আদৌ কতটা সম্ভব? প্রশ্ন তুলছেন নিহত বন্ধুপ্রকাশের মা-ই। তাঁর দাবি, খুনের পিছনে হাত রয়েছে আরও পাকা কোনও মাথার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খুনি ধরা পড়েছে। মোটিভও স্পষ্ট। তবুও, মন মানছে না বন্ধুপ্রকাশের মায়ের। আশ্বস্ত হতে পারছেন না বৃদ্ধা। মাত্র ৫ মিনিটে তিন-তিনটে খুন! একা উৎপল বেহরার পক্ষে সত্যিই কি সম্ভব? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে সাহাপুর-জিয়াগঞ্জের বাতাসে। ছেলে খুনি? মানতে চান না  উৎপলের বাবা-মাও। সপ্তমীর দিন থেকে কানাইগঞ্জে দিদির বাড়িতে ঘাঁটি গেড়ে ছিল উত্‍পল। দশমীতে বন্ধুপ্রকাশকে সপরিবারে খুনের পরও ফেরে সেখানেই। দিদিও বিশ্বাস করতে পারছে না ভাইয়ের কাণ্ড।



বিজয়া দশমীর দিন অর্থাত্ ৮ অক্টোবর নিজের বাড়িতে খুন হন বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি ও ৮ বছরের ছেলে অঙ্গন। পুলিস তদন্তে জানতে পারে, টাকা-পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরে গোটা পরিবারকে খুন করেছে উৎপল। উৎপলের বিমার প্রিমিয়াম ২৪ হাজার টাকা জমা দেননি বন্ধুপ্রকাশ। উল্টে গালিগালাজও করেন। সেই রাগে খুন করেন উৎপল। কিন্তু ৫ মিনিটে কীভাবে সম্ভব ৩টি খুন? 


প্রশ্ন উঠছে, একজন কীভাবে মাত্র ৫ মিনিটে তিনটে খুন করতে পারল? তিনটে দেহ দেখে মনে হচ্ছে একাধিকবার আঘাত করা হয়েছে। 


দিনের বেলায় বন্ধুপ্রকাশকে কোপাচ্ছে উৎপল অথচ বিউটি তাকে আটকাতে গেলেন না? চেঁচামেচিও করলেন না? 


উৎপল সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নন। তাঁর পক্ষে কোনও বাধা ছাড়াই তিনটে খুন কীভাবে সম্ভব? 


মাত্র ২৪ হাজার টাকার জন্য তিনটে খুন করতে যাবেন কেউ?     


ফলে পুলিস অভিযুক্তকে ধরলেও থেকে যাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, মুখ বাঁচাতে গল্প বানিয়েছে পুলিস। কিন্তু সেই গল্পটা অতীব দুর্বল যে লোকে খাচ্ছে না। 


আরও পড়ুন- পাকিস্তানকে জল দেওয়া বন্ধ করে হরিয়ানার কৃষকদের দেব, প্রতিশ্রুতি মোদীর