Abhishek in Raina: `শাহ বলেছিলেন দিদির সরকার `ফুস` হয়ে যাবে`, বিজেপিকে কর্নাটকের কথা মনে করালেন অভিষেক
Abhishek in Raina: রায়নার কাইতি ফুটবল মাঠের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিন মাস অন্তর প্রতিটি পঞ্চায়েতের কাজের পর্যালোচনা হবে। যদি কেউ ভালো কাজ করে তাহলে তার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হবে। আর যদি কেউ দুর্নীতি করতে তাহলে তাকে পদত্যাগ করিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করানোর দায়িত্বও আমার
প্রবীর চক্রবর্তী: সাধারণ মানুষ যাকে প্রার্থী হিসেবে চাইবেন তাকেই প্রার্থী করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে ভোট নিতে গিয়ে একাধিক জায়গায় গোলমাল হয়েছে। রবিবার রায়নার কাইতি ফুটবল মাঠের সভায় সেটাই ফের বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে সাধারণতা প্রার্থী ঠিক করে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বে। একেবারে উল্টো পথে হেঁটে এবার প্রার্থী বাছাইয়ের কাজটা সাধারণ মানুষের উপরেই ছেডে় দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেকের কথায়, ভারতে এমন কেউ করেনি। কারণ আমরা এমন লোক চাই যিনি আগামী ৫ বছর পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর থাকবেন।
আরও পড়ুন-ধান কাটার মেশিন আটকে গেল ওভারহেড তারে, বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ২ ভাইয়ের
জন সংযোগ কর্মসূচিত্ আজ পূর্ব বর্ধমানে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আজ রায়নার কাইতি ফুটবল মাঠের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিন মাস অন্তর প্রতিটি পঞ্চায়েতের কাজের পর্যালোচনা হবে। যদি কেউ ভালো কাজ করে তাহলে তার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হবে। আর যদি কেউ দুর্নীতি করতে তাহলে তাকে পদত্যাগ করিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করানোর দায়িত্বও আমার। মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবে সে-ই তৃণমূলের প্রার্থী হবে। জোয়ার যখন আসে তখন নদীর পাড় থেকে আবর্জনা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তৃণমূলে নবজোয়ার তেমনই কর্মসূচি। আমরা এমন প্রতিনিধি চাই যিনি দলমত নির্বিশেষে মানুষের জন্য কাজ করবে।
জামালপুর থেকে এখানে আসতে ২ ঘণ্টা লেগেছে। রাস্তা মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। ওই রাস্তায় আসার সময়ে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের জন্য দাঁড়াতে হয়েছে। এক যুবক বললেন তিনি আরএসএস করেন। তাদের গ্রামে একটি ল্য়াম্পপোস্ট রয়েছে কিন্তু আলো নেই। সেই আলোর ব্যবস্থা করে দেবেন? সে অমিত শাহকে বলছে না, বলছে অভিষেককে। এর থেকে বাড়তি পাওনা আর কী হতে পারে। একজন বিজেপির কর্মী বলছে এই লাইটটা করে দিলে আমরা উপকৃত হব। আমি বললাম করে দেব। সন্ধের টক শোতে দেখানো হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। আমি বলি, মানুষের চাহিদা রয়েছে। আমাকে বলেছে। এমন বিক্ষোভে আমি রোজ একশো বার পড়তে চাই। বিনামূল্য ভাষণ নাকি বিনামূল্যে রেশন, কী চান আপনারাই ঠিক করুন।
গতকালই কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছে। সেখানে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। সেই ফলের কথা টেনে এনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৫ দিন আগে রাজ্যে একটা সভা করে বলেছিলেন, দিদি ২০২৫ সালে আপনার সরকার ফুস হয়ে যাবে। আর গতকাল কী দেখলাম? কর্নাটকে বিজেপির সরকার, আমরা যাকে মজা করে মায়ের ভোগে যাওয়া বলি সেটাই হয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার। ভোঁকাট্টা হয়ে গিয়েছে কাল। দক্ষিণভারত থেকে কার্যত বিজেপি মুছে গিয়েছে। কর্নাটকে বিজেপি নেই। অন্ধ্রে, কেরালায়, তেলঙ্গানায় বিজেপি েনই। পূর্বভারত দেখুন। বাংলায় বিজেপি নেই। বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগড়ে বিজেপি নেই। খলি রয়েছে মধ্যভারত ও পশ্চিমভারতের কয়েকটি রাজ্যে। এদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। এরা ভেবেছিল ভোট জিতব আর ক্ষমতায় থেকে যাব। গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলে। এবা বুঝতে পারবে বিজেপি। মানুষ চাইলে যে কাউকে টেনে নীচে নামিয়ে দিতে পারে। মনে রাখবেন আণরা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করব না।