Birbhum: ধান কাটার মেশিন আটকে গেল ওভারহেড তারে, বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ২ ভাইয়ের
Birbhum: একবালপুরে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ২ জনের। রবিবার জামাকাপড় মেলতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন বাড়ির জামাই। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মা ও মেয়ের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি জামাই। দেওয়ালে খেলা তার ঝুলছিল। সেই তারেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে যান ওই দুজন
প্রসেনজিত্ মালাকার ও সন্দীপ প্রামাণিক: হরিয়ানা থেকে বীরভূমে ধান কাটতে এসে মৃত্যু হল ২ ভাইয়ের। রবিবার বীরভূমের সদাইপুরের ওই ঘটানায় তোলপাড় শুরু হয় এলেকায়। পুলিস মৃতদেহ নিয়ে যেতে এলে একালার মানুষজন তাড়া করে পুলিসকে। প্রাণভয় পালায় পুলিস। স্থানীয়দের দাবি, বিদ্যুত্ দফতরের লোক না এলা তারা মৃতদেহ তুলতে দেবেন না।
আরও পড়ুন-প্রাথমিকে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের, উঠছে প্রশ্ন
ধানকাটার মেশিন নিয়ে হরিয়ানা থেকে বীরভূমের সদাইপুরে এসেছিলেন বিষ্ণু তানওয়ার(২২) ও বিকাশ তানওয়ার নামে ২ যুবক। সম্পর্কে এরা ভাই। রবিবার তারা মেশিন নিয়ে যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সালুঞ্জি থেকে যাচ্ছিলেন সদাইপুরের রেঙ্গনি গ্রামে। পথে ওভারহেড ১১০০০ ভোল্টেজের তারে গাড়ির উপরের অংশ ঠেকে যায়। আর তাতেই মেশিনে বসে থাকা বিষ্ণু ও বিকাশ বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে য়ান। এদের একজন মাটিতে পড়ে গেলে তার মাথার উপর দিয়ে ওই ভারী গাড়ি চলে য়ায়। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে ওই ঘটনায় প্রবল খেপে ওঠে এলাকার মানুষজন। তাদের দাবি ওই তার বহুদিন ধরেই নীচু হয়ে ঝুলছিল। বিদ্যুত্ অফিসকে বারবার বলা সত্বেও তারা তা ঠিক করেনি। ঘটনার খবর পেয়ে জড়ো হয়ে য়ায় এলাকার মানুষজন। চলে আসে পুলিস। জানতা দাবি করে বিদ্যুত্ দফতরের লোক আসতে হবে। তার পরেই লাশ তুলে দেওয়া হবে। এদিকে পুলিস তাতে রাজি হয়নি। এরপরই পুলিসকে তাড়া করে ক্ষুব্ধ মানুষজন। প্রাণ নিয়ে পালায় পুলিস।
এলাকার বাসিন্দা মফিজুল নামে এক ব্যক্তি বলেন, যে ধানকাটার মেশিন চালাচ্ছিল সে বুঝতে পারেনি যে মেশিনের উপরের অংশ তারে লেগে গিয়েছে। নীচে দুজন ছিল তারা মেশিনে হাত দিতেই তারা বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই দুজনের মৃত্যু হয়। দুজনের বাড়ি হরিয়ানার। ইলেকট্রিকের তারটি নীচে নেমেছিল বহুদিন ধরেই। বিদ্যুত অফিসকে বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। গ্রামের কেউ বিদ্যুত্ চুরি করায় কারও ৫০ হাজার, কারও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তারা জমি বিক্রি করে টাকা শোধ করেছ। এখন এসএস আসুক। তারপর মৃতদেহ ছাড়া হবে। পুলিস এসেছিল। লাশ ছাড়া হবে না। আসাদুল নামে অন্য এক ব্যক্তি বলেন, কথায় কথায় ওরা কারেন্ট কেটে দেয়। আর বহুদিন ধরে ওই তারটা ঝুলে রয়েছে। বহুবার লিখিতভাবে বলার পরও কিছু করেনি বিদ্যুত্ দফতর। যারা দুজন মারা গিয়েছে তারা হরিয়ানার বাসিন্দা। ওখান থেকে ওরা এখানে মেশিন নিয়ে ধান কাটতে এসেছিল।
অন্যদিকে, কলকাতার একবালপুরে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ২ জনের। রবিবার জামাকাপড় মেলতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন বাড়ির জামাই। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মা ও মেয়ের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি জামাই। দেওয়ালে খেলা তার ঝুলছিল। সেই তারেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে যান ওই দুজন।