নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলরদের দল বদলের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি। এদিন হাইকোর্টে বিধাননগর পুরনিগমে কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সব্যসাতী দত্তের দায়ের করা মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। তখনই বিচারপতি বনগাঁ পুরসভার মামলাটির প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, "এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মানুষ একজনকে ভোট দিয়ে পাঠায়। আর তাঁরা দল বদল করেন। কারা ভারতবর্ষ তৈরি করবে?" প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই ঘটনা 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে কড়া সমালোচনা করেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। আস্থা ভোটে কারা জয়ী হয়েছে, তা নিয়েই বিজেপি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, তারা আস্থা ভোটে আগে এসেছে, তাই তারা জয়ী হয়েছে। সেসময় ৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলর ও একজন কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূল চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে সমর্থন করেন। বেলা সাড়ে তিনটের সময়ে অর্থাত্ আস্থা ভোটের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ১১ জন বিজেপি কাউন্সিলর ভোটকক্ষে প্রবেশ করে। এখন বিজেপির দাবি, তাদের কাউন্সিলরদের ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছিল।


আরও পড়ুন, আরও পড়ুন, হাত, পা, ব্যাগ দিয়ে মেট্রোর দরজা বন্ধে বাধা দিলেই এবার হতে পারে ৬ মাসের জেল!


প্রসঙ্গত, শুধু বনগাঁ-ই নয়। লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে দলবদলের হিড়িক পড়ে যায়। দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপিতে গিয়ে নাম লেখান। কিন্তু কিছুদিন আগেই থেকে আবার 'গেম' ঘুরতে শুরু করে। প্রথমে হালিশহরে 'ঘর বাপসি' করেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। পুরসভা পুনর্দখল নিশ্চিত করে তৃণমূল। এরপর কাঁচড়াপাড়ায় শুরু হয় এদল-ওজল দড়ি টানাটানির 'সার্কাস'! রবিবার ৯ কাউন্সিলরের ফের তৃণমূলে যোগদানের মধ্যে দিয়ে কাঁচরাপাড়া পুরসভা 'জয়' করে তৃণমূল। সব মিলিয়ে দলবদল ঘিরে একেবারে টানটান 'চিত্রনাট্য!'