হাত, পা, ব্যাগ দিয়ে মেট্রোর দরজা বন্ধে বাধা দিলেই এবার হতে পারে ৬ মাসের জেল!

এবার থেকে মোটরম্যানের কেবিনের পাশে একটি উত্তল আয়নাও লাগানো থাকবে। যে আয়নায় কোনও যাত্রী কোনও দরজায় আটকে রয়েছেন কি না, তা দেখতে পাবেন চালক।

Updated By: Jul 17, 2019, 01:32 PM IST
হাত, পা, ব্যাগ দিয়ে মেট্রোর দরজা বন্ধে বাধা দিলেই এবার হতে পারে ৬ মাসের জেল!

নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্ঘটনা এড়াতে কড়া পদক্ষেপ করল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর দরজা বন্ধের সময় তা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেই এবার কড়া শাস্তি। হাত, পা বা ব্যাগ ঢোকালে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এমনকি অপরাধ গুরুতর হলে হতে পারে ৬ মাসের জেলও। রেলওয়ে অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কেউ নিয়ম ভাঙছেন কিনা, তা নজরে রাখতে স্টেশনে স্টেশনে কড়া নজরদারি চালাবে আরপিএফ। একইসঙ্গে স্টেশন ম্যানেজারের ঘর থেকে নজরদারি চালানো হবে।

বহু সময়ই দেখা গিয়েছে, মেট্রো দরজার বন্ধ হওয়ার মুখে অনেক যাত্রী লাফিয়ে ট্রেনে উঠছেন। দরজা বন্ধ আটকাতে কেউ হাত, পা বা নিজের ব্যাগটা এগিয়ে দিচ্ছেন। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে এবার কড়া দৃষ্টিপাত করল মেট্রো। উল্লখ্য, মেট্রোর দরজায় সেনসর থাকে। আর সেই কারণেই দরজা বন্ধ হওয়ার সময় কোনওরকম 'বাধা' পেলে, আবার তা খুলে যায়। মেট্র্রোর প্রতিটি দরজা ঠিকমতো বন্ধ হওয়ার পরই, তারপর একমাত্র ট্রেন ছাড়ে। এই 'সুবিধা' কাজে লাগিয়েই বহু সময় বহু যাত্রীকে একদম শেষ মুহূর্তে দৌড়ে এসে ট্রেনে উঠতে দেখা গিয়েছে।

এখন পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে দুর্ঘটনায় সঞ্জয় কাঞ্জিলালের মৃত্যুর পর যাত্রী সুরক্ষার এই দিকটিতে কড়া নজর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সেদিন পার্কস্ট্রিটে মেট্রোর দরজায় হাত আটকে যায় সঞ্জয় কাঞ্জিলালের। সেই অবস্থায় তাঁকে নিয়েই ছোটে ট্রেন। স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রায় ৬০ মিটার দূরত্বে গিয়ে ট্রেন থামে। মর্মান্তিক মৃত্যু হয় মধ্য ষাটের সঞ্জয়বাবুর। সেদিন ওই কামরায় থাকা যাত্রীদের অভিযোগ, দরজার সেনসর সেদিন কাজ করেনি। কাজ করেনি বিপদঘণ্টি ও টকব্যাকও।

কী ঘটেছিল সেদিন, সামগ্রিক ঘটনাটি এখন তদন্তাধীন। মেট্রো  দাবি করেছে, সেদিন দরজার ফাঁকে আটকেছিল নিহত যাত্রীর হাতের আঙুল। কারণ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ১৫ মিলিমিটারের নীচে দরজার ফাঁকে কিছু ঢুকে থাকলে, তা ‘সেন্স’ করতে পারে না সেনসর। ১৫ মিমি-র ওপরে কিছু আটকালে দরজা সেন্স করতে পারে।  এক্ষেত্রে মেট্রো দাবি করছে, দরজার ফাঁকে ওই ব্যক্তির হাতের আঙুল আটকে গিয়েছিল। তা ১৫ মিমি-র কম হওয়াতেই, ‘সেন্স’ করতে পারেনি দরজা। ফলে চালক মেট্রো চালিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ নয়, মৃতের উঠোনে দাঁড়িয়েই বললেন মেট্রো আধিকারিক

উল্লেখ্য, মেট্রোর দরজায় হাত আটকে গেলে, আগেই টেনে বার করে নেওয়ার 'নিদান' দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এবার একেবার জরিমানার পথে হাঁটল মেট্রো। এর পাশাপাশি সোমবারই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে, এবার থেকে মোটরম্যানের কেবিনের পাশে একটি উত্তল আয়না লাগানো থাকবে। যে আয়নায় কোনও যাত্রী কোনও দরজায় আটকে রয়েছেন কি না, তা দেখতে পাবেন চালক।

.