রাজ্যের ৩০ শতাংশ ভোটারকে খুশি করতেই নেতাজিকে অপমান করেছেন Mamata-জি : Kailash
`জয় শ্রী রাম (Jai Shri Ram) হচ্ছে অভিবাদন সূচক শব্দবন্ধ। জয় শ্রী রাম-এ কীসের অপমান? এটা উনি জেনেবুঝে ভোটারদের খুশি করতে করেছেন। বাংলায় যে ৩০ শতাংশ ভোটার রয়েছেন, তাঁদের খুশি করতে করেছেন।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : "নেতাজিকে অপমান করেছেন অপমান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জেনেশুনেই একাজ করেছেন, রাজ্যের ৩০ শতাংশ ভোটারকে খুশি করতে।" শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি (Netaji) জন্মজয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কোনও বক্তব্য না রেখে চলে আসাকে এদিন এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)।
রবিবার সকালে এনজেপি স্টেশনে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। সেখানে সাংবাদিক প্রশ্নে তাঁর চাঁছাছোলা জবাব, "নেতাজিকে (Netaji) শুধু দেশ নয়, সারা বিশ্ব চেনে। তাঁকে নিয়ে অনুষ্ঠানের অন্য় গরিমা ছিল। সেই নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান থেকে চলে যাওয়া মানে তাঁকে অপমান করা।" গতকালকের ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি দাবি করেন, "জয় শ্রী রাম (Jai Shri Ram) হচ্ছে অভিবাদন সূচক শব্দবন্ধ। যখন প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন, তখনও বলা হয়েছিল। প্রহ্লাদ পাটেলকেও বলা হয়েছিল। মমতা ব্যানার্জিকেও (Mamata Banerjee) তাই বলে হয়েছিল। জয় শ্রী রাম-এ কীসের অপমান? যে উনি বলছেন, ওনার অপমান হয়েছে! ভারতমাতা কি জয়-এ কীসের অপমান?" এরপরই কৈলাস বিজয়বর্গীয় তোপ দাগেন, "এটা উনি জেনেবুঝে ভোটারদের খুশি করতে করেছেন। বাংলায় যে ৩০ শতাংশ ভোটার রয়েছেন, তাঁদের খুশি করতে করেছেন। আমি সবসময়ই বলেছি, এই ৩০ শতাংশের জন্য ৭০ শতাংশ বরাবর উপেক্ষিত থেকেছে। এখন সময় এসেছে এই ৭০ শতাংশের সরকার গঠনের। বিধানসভা নির্বাচনেই (Assembly Election) মানুষ এর জবাব দেবে।"
প্রসঙ্গত, গতকাল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বক্তব্য রাখার জন্য বলতে উঠতেই 'জয় শ্রী রাম' (Jai Shri Ram) ধ্বনি ওঠে দর্শকাসন থেকে। 'জয় শ্রী রাম' স্লোগানে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এরপর মঞ্চেই সরাসরি তোপ দাগেন। তিনি বলেন,"সরকারি অনুষ্ঠানের ডিগনিটি থাকা উচিত। এটা কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। আমাকে আমন্ত্রণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ করে, তারপর অপমান করা উচিত নয়। তাই প্রতিবাদ স্বরূপ আমি কিছু বলছি না।" ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এরপরই আর কোনও বক্তব্য না রেখে নিজের আসনে ফিরে যান। এঘটনার পরই রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। মুখ খোলে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি সব পক্ষ-ই।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধিতা থাকলেও, এটা অত্যন্ত কুরুচিকর : Md. Salim
বাংলার গরিমা কালিমালিপ্ত: Partha, পরিকল্পিত অপমান, একই সুর Adhir-র