নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাইপোকে কমিশন না দিয়ে কোনও মেয়র বা মন্ত্রী উন্নয়ন করতে পারেন না। ফিরহাদকে লেখা জিতেন্দ্র তিওয়ারির চিঠি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) আগামিকাল কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছে তৃণমূল। সন্ধেয় তাঁর সঙ্গে বৈঠক।
 
এ দিন রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বলেন,'এখানে মমতাজি বললে কাজ হয়, নয়তো ভাইপোর কথায়। সরকারের এই দু'টি ভরকেন্দ্র। একটা পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি দেখা যায়, আর একটা গলা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে থাকা। মমতাজির ভাবমূর্তি স্বচ্ছ দেখানো হচ্ছে, তবে ওঁর ভাইপো দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। রাজ্যে যে কোনও উন্নয়নের কাজেই ওঁর কাটমানি চাই। সে জন্য ভাইপোকে কমিশন না দিয়ে কোনও মেয়র বা মন্ত্রী উন্নয়নের কাজ করতে পারেন না।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের রিপোর্ট কার্ড টুইট করেছেন রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর দাবি, আইনশৃঙ্খলা, অর্থনীতি, চাকরি, স্বাস্থ্যে ব্যর্থ রাজ্য সরকার।  



 


আসানসোল-বাসীর সঙ্গে রাজ্য সরকারে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এ দিন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে এ দিন কড়া ভাষায় চিঠি দেন আসানসোল পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ২০১৫ এ মোদী সরকার স্মার্ট সিটি প্রকল্প ঘোষণা করে। রাজ্য তাতে যোগ দেয়নি। এ নিয়ে জিতেন্দ্র লিখেছেন, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক আসানসোলকে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য বেছে নেয়। আপনারা অনুমতি দিলে শহরের উন্নয়নে ২ হাজার কোটি টাকা আসত। রাজনৈতিক কারণে সরকার ছাড়পত্র না দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যও আসানসোল কেন্দ্রের কাছ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা পেতে পারত যা আপনারা অনুমতি দেননি বলে পাওয়া যায়নি। আসানসোলের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও সরাসরি আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ করে জিতেন্দ্র লিখেছেন, স্মার্ট সিটির বদলে রাজ্য সরকার টাকা দেবে বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে তা দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন রাস্তা, টাউন হল সংস্কারের মতো প্রকল্পেও রাজ্য সরকার ছাড়পত্র দেয়নি।


আরও পড়ুন- যদি বলি ইমরান খানের পার্টির সঙ্গে কথা বলে আমাকে বলছেন! ফিরহাদকে জিতেন্দ্র